বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস : বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি


প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ১৬ জুলাই ২০১৫

ঈদে ঘরমুখো মানুষদের সুবিধার জন্য জন্য লঞ্চ, বাস ও ট্রেনের বিশেষ সার্ভিস চালু করেছে সরকার। বরিশাল, চাঁদপুর, পিরোজপুর পুটয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস। কিন্তু বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করার পরে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেনি বরং বেড়েছে।

বিশেষ সার্ভিস চালু থাকলেও নেই লঞ্চ ছাড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়। বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস কখন আসে আবার কখন যায় তা কেউ বলতে পারেন না। সময় না জেনে সূর্য উঠার আগেই অনেক যাত্রীকে সদরঘাটে এসে বসে থাকতে দেখা গেছে। দুপুর গড়ালেও অনেকের ভাগ্যে যাত্রা জোটেনি। দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন অসংখ্য যাত্রী।

ঈদযাত্রায় স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস শুরু হয়েছে ১৪ জুলাই থেকে। চালু থাকার কথা ১৭ জুলাই পর্যন্ত। বুধবার বিশেষ সার্ভিসসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ৯৭টি লঞ্চ ঢাকা ছেড়ে গেছে। আজ ভিড় বাড়তে পারে এই আশংকায় ১১৫ থেকে ১২০টি লঞ্চ দক্ষিনাঞ্চলের উদ্দেশ্যে সদরঘাট ত্যাগ করার কথা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাটের লঞ্চঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকে ২৬টি লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়েছে। ২২টির মতো লঞ্চ ঘাটে অপেক্ষমান। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় কড়াকড়ি থাকলেও তা মানছেন না মুনাফালোভী লঞ্চ মালিকরা।

ঈদে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে নৌপরিবহণমন্ত্রী মো. শাজাহান খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নৌযানের ছাদে না ওঠার পরামর্শ দিলেও সরেজমিনে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চ ছাড়ার সময় লঞ্চের বারান্দা, ছাদসহ সকল স্থানে যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। নিয়ম মানার বালাই ছিল না সেখানে।

বিশেষ সার্ভিসের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিশেষ সার্ভিসসহ আজ ঢাকা থেকে ১২০টির মতো লঞ্চ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।

যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জয়নাল আবেদিন বলেন, প্রতি মুহূর্তে আমাদের ক্যাম্প থেকে মাইকে যাত্রী ও লঞ্চমালিকদের সতর্কতা করা হচ্ছে। যাত্রী মনিটরিং এর জন্য কোস্টগার্ড, র‌্যাব, ডিএমপি পুলিশ ও নৌ পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। সার্বিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুকুলে রয়েছে।

এদিকে সারা বছর রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে ডেকে ২০০, সিঙ্গেল কেবিন ৮৫০ এবং ডাবল ১ হাজার ৮০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার সময় নানা অজুহাতে ভাড়া নেয়া হচ্ছে দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি সরকারের সর্বশেষ ভাড়া অনুযায়ী ডেকের ভাড়া ২৫৫, সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার ৩৫০ এবং ডাবল কেবিন ২ হাজার ৩৫০ টাকা।

আরএম/এআরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।