ভারতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত আরও ২৯ হাজারের বেশি
অডিও শুনুন
ভারতে হু হু করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। দেশটিতে নতুন করে আরও ২৯ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪২৯। ফলে এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৮১ জন।
প্রথমবারের মতো দেশটিতে একদিনেই ২৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলো। দেশটিতে গত কয়েকদিনে একের পর এক সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৮২ জন। ফলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৪ হাজার ৩০৯।
ইতোমধ্যেই দেশটিতে প্রায় ৬ লাখ রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৬২ দশমিক ২৩ ভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২০ হাজার ৫৭২ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৪০।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়।
ভারতে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই রাজ্যে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬৫। অপরদিকে, কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারা গেছে ১০ হাজার ৬৯৫ জন।
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ। ওই রাজ্যে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এক লাখ ৭ হাজার ৯৬৩। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা মুম্বাইতে।
করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৪। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৯৯ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯৭ হাজার ৩১০ জন। তামিলনাড়ুতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৪৭ হাজার ৯১৫টি।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ১৫ হাজার ৩৪৬ জন। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারা গেছে ৩ হাজার ৪৪৬ জন। অপরদিকে, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৩ হাজার ২৩৬ জন।
এরপরেই রয়েছে গুজরাট। পশ্চিমের এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৬৩৭। মারা গেছে ২ হাজার ৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৩০ হাজার ৫০৩ জন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৭২৪ জন। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৮৩ জনের। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪ হাজার ৯৮৩ জন। ওই রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১৩ হাজার ৮৫৮টি।
টিটিএন/জেআইএম