নভেম্বরের পর চাকুরেদের বেতন দিতে পারবে না কুয়েত সরকার
দেশে দেশে লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর জ্বালানি তেলের দাম ছিল রেকর্ড সর্বনিম্ন। ফলে বিপদে পড়েছে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশ কুয়েত। দেশটির অর্থমন্ত্রী সংসদকে সতর্ক করে বলেছেন, তহবিল সংকটের কারণে নভেম্বরের পর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দেয়া সম্ভব হবে না।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটরের অনলাইন প্রতিবেদন জানানো হচ্ছে, গত বুধবার দেশটির অর্থমন্ত্রী বারাক আল-শেতান পার্লামেন্টকে সরকারের তহবিল সংকটের এ কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী কুয়েতের অর্থমন্ত্রী আল-শেতান নিশ্চিত করেছেন যে, করোনাকালে তার দেশের সরকার রাষ্ট্রীয় রিজার্ভ তহবিল থেকে প্রতিমাসে প্রায় ১৭০ কোটি কুয়েতি দিনার উত্তোলন করছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৭ হাজার ৯০ কোটি টাকার বেশি।
তেলের দাম যদি না বাড়ে কিংবা সরকার যদি অভ্যন্তরীণ উৎস অথবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কাঙ্খিত পরিমাণ ঋণ না পায় তাহলে শিগগিরই কুয়েতে তারল্য শূন্যের কোটায় নামবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আল-শেতান আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিগত অর্থবছরে কুয়েতের বাজেট ঘাটতি ৬৯ শতাংশ বেড়ে ৫৬৪ কোটি দিনারে গিয়ে ঠেকবে এবং সরকার অনুমান করছে, আগামী ৩১ মার্চ শেষ হতে যাওয়া চলতি অর্থবছরে দেশের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হবে এক হাজার ৪০০ কোটি দিনারের বেশি।
তিনি জানান, সরকারি ব্যয়ের ৭৬ শতাংশই বেতন-ভাতা। আল-শেতান বলেন, ‘ফলে মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সংকটের কারণে জনসেবাখাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও মিতব্যয়ী হতে হবে সরকারকে’।
করোনা মহামারি এবং এর প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণে তেলের মূল্যহ্রাস মধ্যপ্রাচ্যের তেলনির্ভর দেশ কুয়েতের অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া তেল উৎপাদকদের জোট ওপেক প্লাসের জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমাতে গৃহীত চুক্তির কারণেও বিপদে পড়েছে দেশটি।
এসএ/এমকেএইচ