করোনার লাগামহীন বিস্তারের শঙ্কা জার্মানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২০

অডিও শুনুন

করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠা জার্মানিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনাভাইরাসের বিস্তার লাগামহীন হয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিধি-বিধান উপক্ষো করা হলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গড়ে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়াতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।

জার্মানির সংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের (আরকেআই) প্রধান লোথার ওয়াইলার বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি অনেক বেশি চিন্তিত। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি কী হবে, তা আমরা জানি না।

তিনি বলেন, আমরা দৈনিক ১০ হাজারের বেশি নতুন রোগী পেতে পারি। ভাইরাসের বিস্তার লাগামহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মহামারির প্রথম ঢেউ সামলে ওঠা ইউরোপের এই দেশ সম্প্রতি দ্বিতীয় দফার সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে করোনার বিস্তারের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়ায় অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪ হাজার ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের তুলনায় জার্মানির এই সংক্রমণ কিছুটা কম।

জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্প্যান করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করে বলেছেন, জার্মানদের আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই।

করোনাভাইরাস মহামারি প্রথম দফায় সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে জার্মানি। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জেনস স্প্যান বলেছেন, আমাদের এই অর্জনকে নিয়ে জুয়া খেলা যাবে না। রাজধানী বার্লিনের পরিস্থিতি দেখাচ্ছে আমরা কতটা উদাসীন। কিছু কিছু সময় কারও অবজ্ঞা মহামারিকে দ্রুত অন্য স্তরে নিয়ে যেতে পারে।

জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৩ লাখ ১১ হাজার মানুষ এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৫২ জন।

সূত্র: বিবিসি।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।