কানাডায় আংশিক লকডাউনে নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা

আহসান রাজীব বুলবুল
আহসান রাজীব বুলবুল আহসান রাজীব বুলবুল , কানাডা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, এবং কুইবেকে দ্রুত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আংশিক লকডাউন, রাতের বেলায় কারফিউ, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও কোনোভাবেই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

কানাডায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, জানুয়ারিতেই দেশটিতে কোভিডে মৃত্যু বিশ হাজারে পৌঁছাতে পারে।

কানাডার পাবলিক হেলথ এজেন্সি (পিএইচএসি) প্রকাশিত নতুন মডেলিং থেকে জানা যায়, জনগণ যদি বাহিরের মানুষের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সংক্রমণের সংখ্যা দৈনিক গড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি হতে পারে। যদি কেবলমাত্র তাদের বাড়ির বাইরের লোকজনদের সাথে যোগাযোগের বর্তমান স্তরটি বজায় রাখে, সে ক্ষেত্রেও সংক্রমণের সংখ্যা দৈনিক ১৩ হাজার হয়ে যাবে।

অন্টারিও প্রদেশের সর্ববৃহৎ শহর টরন্টোর মেয়র জন টরি পুরোপুরি লকডাউনের দাবি করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ভেঙে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে এটা জরুরি বলে তিনি মত দিয়েছেন।

টরন্টো মেয়র বলেন, ‘আমি চাই বিগ-বক্স স্টোরসহ আরও ব্যবসা বন্ধ থাক। যাতে করে মানুষ বাইরে বেরোনোর কারণ কম দেখাতে পারে। বসন্তে অনেক কিছুই বন্ধ ছিল এবং আমরা তার ভালো ফল পেয়েছিলাম।’

নিয়ম ভঙ্গকারীদের শাস্তির ওপরও জোর দেন জন টরি। তবে এটাও স্বীকার করেন যে, এটা করার মতো যথেষ্ট সম্পদ আমাদের নেই। তাই জনগণ যাতে আগের মতোই নীতিমালা মেনে চলেন তাদের প্রতি সে আহ্বান জানান তিনি।

সংক্রমণ রোধে কুইবেকের মতো কারফিউ জারির পক্ষে মেয়র বা শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেউই মত দেননি। ডা. এইলিন দ্য ভিলা বলেন, সংক্রমণ রোধে কারফিউ কার্যকর কিনা তার পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।

কানাডায় আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭২ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৮ হাজার ১২০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২৩ হাজার ৩৩ জন।

এমএইচআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।