দক্ষিণ কোরিয়ায় কুকুর-বিড়ালের করোনা পরীক্ষা শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে পোষা কুকুর এবং বিড়ালের দেহে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তাদেরও পরীক্ষা করা হবে। সিউল ম্যাট্রোপলিটন সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি একটি পোষা বিড়ালছানার দেহে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। কোনো কুকুর বা বিড়ালের জ্বর বা শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে তাদের অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
যদি তাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে তবে অবশ্যই বাড়ির মধ্যে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। করোনায় আক্রান্ত পোষা প্রাণিকে ঘরের বাইরে বের করা যাবে না।
তবে করোনায় আক্রান্ত কোনো পোষা প্রাণিকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানানো হয়েছে। মানুষ এবং পোষা প্রাণির মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে পোষা প্রাণির মালিক যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বা তিনি যদি এত বেশি অসুস্থ হন যে পোষা প্রাণির দেখাশুনা করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে ওই পোষা প্রাণিকে আইসোলেশন সেন্টারে রাখা যাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন নেই তারা সাধারণত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই থাকেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কর্মকর্তা পার্ক ইয়ো-মি লোকজনকে তাদের পোষা প্রাণি নিয়ে চলাফেরার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বাইরে চলাফেরার সময় অন্যান্য মানুষ এবং প্রাণি থেকে নিজেদের পোষা প্রাণিকে কমপক্ষে দুই মিটার দূরে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি অনুযায়ী, গত মাসে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জিনজু শহরে একটি ধর্মীয় আবাসনে একটি বিড়ালছানার দেহে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই আবাসনে এক মা এবং মেয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ওই বিড়ালছানার দেহে ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই মা-মেয়ে দু'জনের দেহেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা এর আগে জানিয়েছেন যে, কুকুর বা বিড়াল থেকে মানুষের দেহে করোনা ছড়ায় না। যদিও সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিড়াল করোনাভাইরাস বহন করতে পারে এবং এক বিড়াল থেকে অন্য বিড়ালে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন পর্যন্ত বেশ কিছু পোষা প্রাণির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
টিটিএন/জেআইএম