কড়াকড়ি শিথিল, ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করছে দ. কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় কড়াকড়ি শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার থেকে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে অন্য সব ক্ষেত্রে লোকজনের একসঙ্গে সমবেত হওয়ার ওপর সীমাবদ্ধতা থাকছেই। এদিকে, চলতি মাসেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার থেকেই দেশটিতে লুনার নিউ ইয়ারের ছুটি শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবনতি ঘটেছে, লোকজন চাকরি হারিয়েছে, বিভিন্ন ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
রোববার রাত পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৪ জন। মাঝের কয়েক মাস দেশটিতে সংক্রমণ ছিল খুবই কম। কিন্তু কিছুটা বিরতি দিয়ে সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা কেডিসিএ'র প্রধান সোমবার এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
জনবহুল সিউল এবং এর আশেপাশের এলাকায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেওন দিওক চিওল। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, লুনার নিউ ইয়ার উপলক্ষে ছুটির দিনগুলোতে লোকজনের চলাচল বেড়ে যায়। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এ ধরনের ছুটির দিনগুলোতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি আমরা আমাদের নিরাপত্তা কমিয়ে দেই এবং সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে পালন না করি তবে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নতুন সংক্রমণের ৮০ শতাংই সিউল এলাকার এবং ছুটির দিনগুলোতেই এসব সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এটা আমাদের জন্য আতঙ্কের।’
সোমবার থেকে সিউলে কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফেতে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউয়ের বদলে রাত ১০টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বার এবং নাইট ক্লাব পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে লোকজনের সংখ্যা কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
সিনেমা, ইন্টারন্টে ক্যাফে, ক্রাম স্কুল, থিম পার্ক, বড় সুপারমার্কেট এবং সেলুনের ওপর থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। সিউলের বাইরের এলাকায় ব্যবসা থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গির্জা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে দর্শকের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে পুরো দেশজুড়েই চারজনের বেশি মানুষের একত্রিত হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকছেই। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৮৬৯। এর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৫২৭।
টিটিএন/এমকেএইচ