একের পর এক সংক্রমণের রেকর্ড ভাঙছে ভারতে
ভারতে চলতি বছর করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ২৯১ জন। তিন মাসের সংক্রমণের রেকর্ড ভেঙে গত কয়েক দিনে বারবার নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৩৯। বিশ্বে করোনায় মোট সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।
প্রদেশগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। সোমবার দৈনিক সংক্রমণ সেখানে সাড়ে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মুম্বাইতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন ভারতের কিছু রাজ্যে আবার আছড়ে পড়ছে, তখন জনগণের সচেতন না হওয়ার চিত্রে প্রশাসনের চিন্তা বাড়ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের দাদরি বাজারে গাদাগাদি ভিড়।
কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘মহামারি শেষ হয়ে গিয়েছে এরকম ভাবার কোনও কারণ নেই’।
করোনার নতুন কিছু ধরনের সন্ধানও পাওয়া গেছে ভারতের বিভিন্ন শহরে। এজন্যই মাস্ক ব্যবহার এবং যতটা সম্ভব ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাসখানেক আগে কেরালায় যে পরিস্থিতি ছিল তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কর্নাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাটেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল দৈনিক সংক্রমণ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই রাজ্যগুলোতেও সংক্রমণ বেড়ে চলছে।
পাঞ্জাবে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ দেড় হাজারের আশপাশে উঠে গেছে। হরিয়ানাতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশেও সংক্রমণ ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। মূলত এই রাজ্যেগুলোই ভারতের মোট দৈনিক সংক্রমণের ৯০ শতাংশ।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও সময় দৈনিক আক্রান্ত দেড়শোর মধ্যে নেমে এসেছিল। এখন তা আবার আড়াইশোর বেশি হচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু রাজ্য আবার লকডাউনের পথে হাঁটছে। হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
ভারতে করোনা সংক্রান্ত দৈনিক মৃত্যু একশ’র নীচে নেমে গিয়েছিল। কয়েক দিন ধরে তা আবার একশ বা দেড়শো ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭২৫ জনে। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমও চলছে দ্রুত গতিতে। এখন পর্যন্ত ভারতে প্রায় ৩ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
এমকে/এএসএম