দুর্নীতির দায়ে অস্ট্রিয়ার ডানপন্থী নেতার ১৫ মাসের কারাদণ্ড

অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির সাবেক প্রধান হেইঞ্জ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাচকে দুর্নীতির দায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ভিয়েনার আদালতে তার বিরুদ্ধে দেয়া রায় পড়ে শোনান বিচারক।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়, তার এক বন্ধু ও দাতা যেন তার ব্যক্তিগত ক্লিনিকের জন্য সরকারি তহবিল নিশ্চিত করতে পারেন, সেজন্য আইন পরিবর্তনে সহায়তা করেছিলেন।
হেইঞ্জের মালিকানাধীন হাসপাতালটির প্রধান ওয়ালটার গ্রাবমুলারকেও স্ট্র্যাচের সঙ্গে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে।
ফ্রিডম পার্টি অস্ট্রিয়ার অতি ডানপন্থী একটি রাজনৈতিক দল। দুই বছর আগে দলটির প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে তার একটি গোপন ভিডিও প্রকাশ হয়।
যেখানে দেখা যায়—বেআইনিভাবে হেইঞ্জ তার নিজ পার্টির অর্থ এফপিওতে ডোনেশন করছেন। অবকাশযাপনে গিয়ে হেইঞ্জ যখন ইবিজার দ্বীপে অবস্থান করছিলেন, সেসময় ওই ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছি।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের ওই ভিডিও প্রকাশের পর তাকে দেশটির ভাইস-চ্যান্সেলর পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বেশকিছু দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সরকার। বলা চলে ওই ভিডিও হেইঞ্জের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তের পথ উন্মোচন করে দেয়।
তবে বরাবরই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন হেইঞ্জ ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাচ। তার বন্ধু ওয়ালটার গ্রাবমুলারও অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে শেষপর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন হেইঞ্জ ও গ্রাবমুলার। হেইঞ্জকে ১৫ মাসের জেল এবং গ্রাবমুলারকে এক বছরের জেল দেয়া হয়।
ভিয়েনার আদালতের বিচারক ক্লোডিয়া মোরাভেক ও লোইডলট তাদের রায়ে উল্লেখ করেন, গ্রাবমুলার হাসপাতালটির জন্য বছরের পর বছর ধরে জনস্বাস্থ্য তহবিল থেকে অর্থ নিশ্চিতের ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। তাকে সহায়তা করে গেছেন তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর হেইঞ্জ।
ইউএইচ/এএএইচ/জেআইএম