বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন তুলে নিচ্ছে সিডনি
![বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন তুলে নিচ্ছে সিডনি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/sydney-1-20211015111719.jpg)
চলতি বছরের নভেম্বর থেকে টিকার ডোজ সম্পন্ন করা ভ্রমণকারীদের জন্য সিডনিতে কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো ফেডারেল অনুমতির অপেক্ষায়। খবর বিবিসির।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) ঘোষণা করা নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিকল্পনার বিষয়ে এখনও সাড়া দেননি। কিন্তু যদি এটি অনুমতি পায় তাহলে করোনা মহামারির পর অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের এটিই প্রথম পদক্ষেপ হবে, ভ্রমণকারীদের জন্য।
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান ডোমেনিক পেরোটে বলেন, ১ নভেম্বর থেকে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি সবার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, আমরা সবাইকে সমান চোখে দেখি এবং যদি আপনি পুরোপুরি টিকাগ্রহণ করেন তাহলে এই চমৎকার রাজ্যে আপনি আসতে পারেন।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে অস্ট্রেলিয়া করোনা ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য শুধু প্রবেশ খোলা রেখেছিল, তবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন ছিল বাধ্যতামূলক।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, গত মাসে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, নভেম্বরের দিকে পরিবর্তন আসতে পারে সীমান্ত খোলার বিষয়টি নিয়ে, যারা দেশের বাইরে যেতে চান বা বাইরে থেকে আসতে চান।
এর আগে ১০৬ দিন পর সিডনির লকডাউন তুলে নেয় কর্তৃপক্ষ। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট কাবু করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনিকে। করোনা ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। জারি করা হয় লকডাউন। শহরটির ৫০ লাখ মানুষ লকডাউনের মধ্যে ছিলেন।
অবশেষে ১০৬ দিন পর স্থানীয় সময় সোমবার (১১ অক্টোবর) তুলে নেওয়া হয় লকডাউন। ঘরবন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে এখন সিডনির যে কোনো বাসিন্দা যারা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, তারা চাইলে বের হতে পারছেন। তারা যেতে পারছেন রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, দোকান বা স্যালুনে।
চলতি বছর জুনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ ছিল সিডনিতে। বাসিন্দারা সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে যেতে পারতেন। দোকান পাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্যালুন, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট সবই বন্ধ ছিলো। অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েন শহরটির বাসিন্দারা। অনেকে হতাশার মধ্যে পড়েন। লকডাউন তুলে নিতে সিডনির রাস্তায় আন্দোলনও করেন শহরটির বহু মানুষ।
এসএনআর/জিকেএস