করোনার মুখে খাওয়া ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিলো ভারত
ভারতে আরও দুটি ভ্যাকসিন এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য মুখে খাওয়া পিল মলনুপিরাভির ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন দেওয়া ওই দুটি ভ্যাকসিন হলো কোভোভ্যাক্স ও কোরবেভ্যাক্স। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) এ ছাদপত্র দেয়। খবর এনডিটিভির।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া এক টুইট বার্তায় জানান, কোরবেভ্যাক্স ভারতের প্রথম নিজস্ব তৈরি আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন। হায়দরাবাদভিত্তিক বায়োলজিক্যাল ফার্ম-ই এটি তৈরি করছে।
ভারতের তৈরি এটি তৃতীয় ভ্যাকসিন। এর আগে করোনা প্রতিরোধে ভারতের তৈরি করা আরও দুটি ভ্যাকসিন হলো ভারত-বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, অ্যান্টি-ভাইরাল মলনুপিরাভির ভারতে ১৩টি কোম্পানির সমন্বয়ে তৈরি করা হবে। শুধু বয়স্ক রোগীদের বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে এটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র মলনুপিরাভির ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
এখন পর্যন্ত ভারতে আটটি করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হলো। অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো হলো কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, জিকোভি-ডি, স্পুতনিক ভি, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, কোরবেভ্যাক্স এবং কোভোভ্যাক্স।
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতে হেলথকেয়ার, ফ্রন্টলাইনার এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেবে বলে জানা গেছে। এছাড়া দেশটিতে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৩ জন। করোনায় দেশটিতে মারা গেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন।
তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। ওমিক্রন মোকাবিলায় নববর্ষ উদযাপনে সমাগম ঠেকাতে দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাতে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
এসএনআর/জেআইএম