মেঘনায় পাওয়া সেই মরদেহ শিশু মারিয়ার


প্রকাশিত: ০৩:৪৭ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা সেই মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকার মনির হোসেনের ছোট মেয়ে মারিয়া আক্তারের (০৬)। রোববার দুপুরে মারিয়ার মা রত্না বেগম তার মরদেহ সনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি পরকীয়া প্রেমের কারণে নিজেকে অবিবাহিত প্রমাণ করার জন্য মনির হোসেন তার দুই মেয়ে মারিয়া আক্তার (০৬) ও সামিয়া আক্তারকে (০৪) ভৈরবের মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন। যদিও মনির প্রথমে বিদেশে যাওয়ার টাকার জোগাড় করতে দুই শিশুকে বিক্রি করে দেয়ার কথা জানিয়ে ছিল পুলিশকে। পরে রিমান্ডে নেয়ার পর মনিরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ভৈরবের একটি হোটেলে দুই শিশুকে নিয়ে গিয়ে দুপুরের খাবার খান মনির। এরপর বিকেলে তাদের নিয়ে ভৈরবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে বেড়াতে যান মনির। পরে সুযোগ বুঝে সামিয়া ও মারিয়াকে সেতুর উপর থেকে প্রায় ৫০ ফুট নিচে পানিতে ফেলে দেন।

এরপর মনস্থির করেন তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলেকেও হত্যা করবেন। কিন্ত মানসিক অশান্তির কারণে তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ২৭ জানুয়ারি মা রত্না বেগম বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ মনিরকে আটক করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন জাগো নিউজকে জানান, মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর থেকেই পুলিশ ওই দুই শিশুর মরদেহ খুঁজতে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি ভৈরব থানা পুলিশের নজরে আসে। অবশেষে রোববার সকালে ভৈরব থানার ওসি আশুগঞ্জ থানায় ফোন করে জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মেঘনা নদীতে থেকে তারা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ভৈরব থানায় যোগাযোগ করে ওই শিশুর পরনে থাকা জামা-কাপড় ও ছবি নিয়ে আসে। পরে রত্না বেগম ছবি ও জামা-কাপড় দেখে তার মেয়ে মারিয়া আক্তারের মরদেহ সনাক্ত করেন।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।