বিচারপতি মানিকের বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার বন্ধে রিট খারিজ
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিচার বিভাগ এবং প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য গণমাধ্যমে সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেব নাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলীর পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান রিটটি দায়ের করেন।
পরে জুলফিকার আলী সাংবাদিকদের বলেন, অবসরপ্রাপ্ত এ বিচারপতি কিছুদিন ধরে বিচার বিভাগ, উচ্চ আদালত ও প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এ বক্তব্যগুলো গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে। যাতে দেখা যায় এ বক্তব্যগুলো মানহানি এবং আদালত অবমাননাকর। সংবিধানে (৩৯ অনুচ্ছেদ) উনার বক্তব্য দেয়ার জন্য স্বাধীনতা আছে। কিন্তু সেখানে কিছু বাধা নিষেধ আছে। যেটা উনি মানছেন না।
এছাড়া জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুসারেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেও কিছু বাধা নিষেধ রয়েছে। এ কারণে পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে। এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দি চৌধুরী মানিকের দ্বৈত নাগরিক কিনা তার তথ্য চেয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আবেদনের বিষয়ে আইনজীবী বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির পদ গ্রহণ করার সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে কিছু তথ্য গোপন করেছেন। এই বিষয়ে তদন্তের জন্য আমি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেছি। আবেদনের মাধ্যমে আমি ব্রিটেনে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মাইগ্রেশন স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছি।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি একই আইনজীবী দুদকে শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে আবেদন করেন। আইনজীবী দুদকে দায়ের করা আবেদনে অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতির দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে বলে অভিযোগ আনেন। কেননা, আইনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের বিচারপতি হওয়ার ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়।
তার আগের দিন গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অপর এক আইনজীবী রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের জাজশিপ বাতিল করার জন্য।
এফএইচ/এমজেড/পিআর