অনাহারে দেশের মানুষ প্রেসিডেন্টের রাজকীয় জন্মদিন


প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত জিম্বাবুয়ের লাখ লাখ নাগরিক অনাহার-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। সেদিকে যেন কোনো খেয়াল নেই দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের। ৯২ তম জন্মদিনে খরচ করেছেন ৮ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি পাঁচ কোটি টাকার বেশি)।

দারিদ্রপীড়িত দেশের প্রেসিডেন্টের এমন ব্যয়বহুল জন্মদিন পালনে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে। ৯২তম জন্মদিনে ৯২টা বেলুন উড়িয়ে স্ত্রী গ্রেসকে নিয়ে জন্মদিনের উৎসব শুরু করেন মুগাবে।

Robert-Mugabe
প্রেসিডেন্টের জন্মদিনের বেলুন ওড়ানো দেখতে হাজির হয়েছিলেন দশ হাজার মানুষ। মুগাবে বরবরাই তার জন্মদিনের উৎসব একেবারে রাজকীয় হালে করেন। যেখানে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত, সেখানে প্রেসিডেন্টের বিলাসবহুল জন্মদিন পালন করা নিয়ে বিরোধীরা রীতিমতো তিরস্কারে মেতে উঠেছেন। তারা বলছেন, এজন্য প্রেসিডেন্টের লজ্জিত হওয়া উচিত।

গত বছর ৯১তম জন্মদিনে প্রচুর বন্যপ্রাণী শিকার করেন তিনি। পরে তা রান্না করে ২০ হাজার অতিথিকে খাওয়ানো হয়। গতবারের জন্মদিনের পার্টিতে খরচ করেছিলেন ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

Robert-Mugabe
দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্ব মুগাবের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ের গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ করে আসছে। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, হেনরি ওলোঙ্গা সহ দেশটির খ্যাতমান ক্রিকেটাররা মুগাবের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দেশ ত্যাগ করেছেন।

১৯৮০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর জিম্বাবুয়ের রাজনীতিতে রবার্ট মুগাবের আধিপত্যের শুরু হয়। ওই বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে এগারো বছর কারাবরণ করেন মুগাবে। ১৯২৪ সালে রাজধানী হারারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুটামা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

এসআইএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।