আনিসুল হকের সভায় ক্ষোভ ঝাড়ল পুলিশ


প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসির) আওতাভুক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাউন্সিলরদের একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলেন মেয়র আনিসুল হক। রোববার গুলশান ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির কাউন্সিলররা মেয়রের কাছে পুলিশের অসহযোগিতা ও সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরেন। শামীমা রহমান নামে এক নারী কাউন্সিলর অভিযোগ করেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় তেজগাঁওয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালিত হয়। পুলিশ সেখান থেকে টাকা নেয়।
 
আরেক কাউন্সিলর অভিযোগ করেন পুলিশ ফুটপাত উচ্ছেদের পর সেখান থেকে টাকা নিয়ে আবার বসতে দেয়।
 
কাউন্সিলরদের এসব বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ জানান পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশের চামড়া গণ্ডারের মতো। অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে, তবে আমরা যারা পুলিশের কাজ করি সবাই চুপ থাকি। আমরা কিছুই বলি না। পুলিশ একটি সফট টার্গেট।

বিপ্লব কুমার আরো বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের একটা কথা বলতে চাই। পারলে পুলিশকে সহযোগিতা করেন, পুলিশের কাজে বাধা হয়ে দাড়াবেন না।’
 
মতবিনিময়য়ের অন্যতম এজেন্ডা ছিল মাদক। এই সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে প্রশ্ন রাখেন পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আলাদা অধিদফতর রয়েছে। তাদের না এনে মাদকের জন্য শুধুমাত্র পুলিশকে কেন বলা হয়েছে? মাদক নির্মূলে অধিদফতরের অর্জন কতটুকু আর পুলিশের অর্জন কতটুকু?
 
ডিসি বলেন, বাংলাদেশে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইনের কোনটিই তৈরি করা হয় না। এগুলো সীমান্ত দিয়ে কীভাবে বাংলাদেশে আসে সেদিকে নজর দিন। গোড়া থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করুন। গডফাদারদের আমি দেখবো।
 
ফুটপাথ দখলমুক্ত করার বিষয়ে ডিসি বলেন, ‘ফুটপাথ সিটি কর্পোরেশনের জমি। পুলিশকে দায়িত্ব দিন ৬ ঘণ্টার মধ্যে গুলশানের সব ফুটপাথ খালি করে দেবো।’
 
পুলিশের এমন জবাবের পর আনিসুল হক বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যরা এতো সুন্দর করে কথা বলেন আমার আগে জানা ছিল না। আমি জানি পুলিশ সারাদিন অনেক কষ্ট করে। আমি পুলিশ সদস্যদের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানাই।

এআর/এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।