মাদক নির্মূলে ওসি-ডিসি কি করে : প্রশ্ন মেয়রের


প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেন, মাদক আমাদের জন্য একটি অভিশাপ। মাদক স্পটগুলোর বিষয়ে আমাদের পুলিশ জানে। এসব নির্মূলে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আর উপ-কমিশনার (ডিসি) কি করেন?
 
রোববার গুলশান ক্লাবে ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির আওতাভুক্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি ৩৬ ওয়ার্ডের ৪৮ জন ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলর, পুলিশের ৬ ডিসি, এসি ও ২৫ থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।
 
আনিসুল হক বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় ২ টি মাদকের স্পট রয়েছে। একটি তেজগাঁও-কারওয়ান বাজার, আরেকটি মোহাম্মদপুরে। এগুলো কেন এখনো নির্মূল করা হচ্ছে না। ওসি-ডিসি করেন। মাদক নির্মূলে এখন থেকে মেয়র আপনাদের সঙ্গে কাজ করবে। মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় করে কাজ অত্যন্ত জরুরি।
 
মতবিনিময় সভায় ডিএনসিসির ২৬, ২৭, ২৮ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শামীমা আক্তার বলেন, ‘তেজগাঁয়ের এলাকার মাদকের সঙ্গে পুলিশ জড়িত। তেজগাঁওয়ের ডিসি বিপ্লব ভালো মানুষ, ওসি ভালো মানুষ। তবে তাদের নিচের পুলিশ কর্মকর্তারা মাদকের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। তারা মাদকসেবীদের ধরে, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে না। এতে দলীয় লোকরাও জড়িত রয়েছে।’
 
সভায় তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশ সবার সফট টার্গেট। তাই সবাই পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলে। কে কার থেকে টাকা খায়, কে তদবির করে সবই জানি। প্রকাশ্যে না বলে এগুলো ব্যক্তিগতভাবে মেয়রকে বলবো। আপনাদের কাছে অনুরোধ পুলিশকে সহযোগিতা করেন পুলিশের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
 
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, মাদক নিয়ে এতো আলোচনা হবে মেয়র সাহেব কেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি। বাংলাদেশে ফেন্সিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হিরোইনের তৈরি করা হয় না। এগুলো সীমান্ত দিয়ে কীভাবে বাংলাদেশে আসে সেদিকে নজর দিন। গোড়া থেকে ব্যবস্থা নিন।
 
মতবিনিময় সভার শেষে আনিসুক হক পুলিশ ও কাউন্সিলরদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
 
এআর/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।