কোস্টগার্ডে বিদ্রোহে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিল পাস
বাহিনীর অভ্যন্তরে বিদ্রোহের সূচনা করলে, বিদ্রোহে প্ররোচনা দিলে বা অংশ নিলে এবং বিদ্রোহের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তা দমনের ব্যবস্থা না নিলে পৃথক আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অনধিক চৌদ্দ বছরের যেকোন মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রেখে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বিল-২০১৬ সোমবার সংসদে পাস হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছিল।
এ বিলটি পাসের আগে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের আনীত বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সমুদ্র ও অন্যান্য জলসীমাসহ জলসীমাসংলগ্ন স্থলভাগ, সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা বিধান ও জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নামে একটি আধা সামরিক বাহিনী গঠন, নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, শৃঙ্খলা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যমান আইন পুণঃপ্রণয়ন প্রয়োজন।
বিলে এ বাহিনীর কার্যাবলী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপশি যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সহায়তা করা, নাশকতা ও সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও দমন, মানবপাচার প্রতিরোধ তথা অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অবৈধ গমন প্রতিরোধ, মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ মৎস আহরণ প্রতিরোধ এবং দুর্যোগকালীন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এ বাহিনী পরিচালনার জন্য একটি অধিদফতর থাকবে। তার প্রধান বা মহাপরিচালক নিযুক্ত হবেন নৌবাহিনী থেকে। এছাড়া এ বাহিনীতে প্রেষণে নৌবাহিনী, সেনাবহিনীসহ শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক লোক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।
এইচএস/এনএফ/এবিএস