উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: কলকাতায় কৃষিমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এ উন্নয়নের গতি আরও বেগবান ও গতিশীল করতে হবে। তবেই বিশ্বের বুকে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশে রূপান্তর হবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে একটা অন্যতম উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যে কৌশল আমরা নিয়েছি, যেভাবে আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি, তাতে এ লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’ ভারত কমিটির উদ্যোগে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কলকাতার রোটারি সদন অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন কৃষিমন্ত্রী। সেখানে তিনি গণমাধ্যমের কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

jagonews24

ড. রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। উনি গত ১৪ বছরে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন করেছে, যে উন্নয়ন দৃশ্যমান, সারা পৃথিবীতে যা প্রশংসিত হয়েছে।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের অগ্রগতির খবর বহির্বিশ্বে পৌঁছাচ্ছে না

সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। আমাদের দারিদ্র্যতা অর্ধেক কমিয়ে এনেছি, অর্থাৎ ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে। অতি দরিদ্রের হার যেখানে ১৮-১৯ শতাংশ ছিল সেটা এখন ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। অবকাঠামো, ব্রিজ, পদ্মা সেতু, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি করা হয়েছে, সেখানে শিল্প, কলকারখানা করা হচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়, কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এদিন বিকেলে কলকাতার হোটেল গ্র্যান্ড ওবেরয় এ মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানায় কলকাতার ‘ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব’। প্রেস ক্লাবের পক্ষে মন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া এবং ঐতিহ্যবাহী কে সি দাসের মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন ক্লাব সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী এবং মেন্টর পরিতোষ পাল।

এসময় সেখানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীর সুরসহ ক্লাবের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের সার্বিক সাফল্য কামনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ফোরামের মধ্যদিয়েই ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।

jagonews24

আরও পড়ুন>> ভূ-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বাংলাদেশ

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত সহযোগিতা করেছে, জীবনবাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। এমন একটি দেশের সঙ্গে একটি ফোরামের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে, গভীর হবে।

তিনি বলেন, উভয় দেশ সবদিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিকভাবে ভারত বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। একাধিক বিষয়ে আমাদের উভয় দেশের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে।

ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।