চীনে প্রাচীন মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা, প্রতিবাদে সরব মুসলিমরা

চীনের ইউনান প্রদেশে একটি প্রাচীন মসজিদের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা ঘিরে সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে স্থানীয় মুসলিমদের। এ ইস্যুতে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন অসংখ্য বিক্ষোভকারী, বাকিদের আত্মসমর্পণের জন্য ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে পুলিশ। মসজিদ ভাঙতে বাধা দেওয়াকে ‘সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যাহত করা’ এবং ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে তারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে জানা যায়, ইউনান প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত নাগু শহরে রয়েছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নির্মিত নাজিয়ায়িং মসজিদ। সম্প্রতি এর চারটি মিনার ও একটি গম্বুজ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। মসজিদটিকে বর্ধিত করতে এই অংশটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু এই পদক্ষেপকে বেআইনি ঘোষণা করেন স্থানীয় একটি আদালত।
আরও পড়ুন>> উইঘুর মুসলিমদের রোজা রাখতে দিচ্ছে না চীন: রিপোর্ট
গত শনিবার (২৭ মে) মসজিদের বাইরে একদল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপি’কে বলেন, তারা জোরপূর্বক উচ্ছেদের কাজ এগিয়ে নিতে চায়। তাই এখানকার লোকজন তাদের থামাতে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের মতো মুসলিমদের কাছে মসজিদ হচ্ছে ঘর। তারা যদি এটিকে ভাঙার চেষ্টা করে, আমরা অবশ্যই তা হতে দেবো না।
Footage from China allegedly shows police clashing with Muslims from China’s Hui minority after they were barred entry to a mosque, where authorities were looking to carry out a demolition order pic.twitter.com/PVq1lCmKlP
— Al Jazeera English (@AJEnglish) May 30, 2023
ওই নারীর প্রশ্ন, ভবন তো ভবনই। এগুলো মানুষ বা সমাজের কোনো ক্ষতি করে না। তাহলে কেন তা ধ্বংস করতে হবে?
আরও পড়ুন>> উইঘুর মুসলিমদের হত্যার পর দেহের অঙ্গও বিক্রি করে চীন!
দুই প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতার করেছে। সোমবারও কয়েকশ পুলিশ সদস্য শহরে ছিল।
গত রোববার তোংহাই সরকারের জারি করা এক নোটিশে বলা হয়েছে, সামাজিক ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাকে ‘মারাত্মকভাবে ব্যাহত’ করা একটি ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে ‘সব ধরনের বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ’ করার নির্দেশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> চীনে মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা বানানো হচ্ছে
নোটিশে বলা হয়েছে, কেউ আত্মসমর্পণে অস্বীকার করলে তাকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়া হবে। আর যারা আগামী ৬ জুনের মধ্যে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে অপরাধ স্বীকার করবে, আইন অনুসারে তাদের হালকা শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
কেএএ/