ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

মা-বাবার সঙ্গে দেখা করা হলো না সাগরের

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ০৩ জুন ২০২৩

উড়িষ্যার বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের চা বাগানের ফুটবল লাইনের বাসিন্দা সাগর খড়িয়ার। তার বয়স ৩০ বছর।

বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে কাজ করতেন সাগর। এবার ছুটিতে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে ফেরার সময় ট্রেন দুর্ঘটনায় সাগরের মৃত্যু হয়। সাগরের সঙ্গে আরও ১১ জন ছিলেন। তারা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। সাগর খড়িয়ার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকেরছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন>সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া যাত্রীর লোমহর্ষক বর্ণনা

সাগর খড়িয়ার দাদা মনোজ খড়িয়া জানান, গত পাঁচ মাস আগে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা চা বাগানের ১০ থেকে ১২ জন যুবক বেঙ্গালুরুতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আমার ভাই সাগর ছিল। সেখানে এক হোটেলে কাজ করত সাগর। গতকাল তারা বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরছিল। সেই সময় উড়িষ্যার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় সাগর মারা যায়।

আহত ১০ জন উড়িষ্যা থেকে কলকাতায় ফিরছেন। কিন্তু সাগরের মরদেহ কীভাবে বাড়িতে আনা হবে তা নিয়ে চিন্তিত তার পরিবারের লোকজন।

নাগরাকাটা ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় কুজুর বলেন, আমরা আহত ১০ জনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছি। আর সাগরের মরদেহ কীভাবে নাগরাকাটায় ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি।

আরও পড়ুন>যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি মানুষের ভুল, উঠেছে প্রশ্ন

এদিকে এখনো করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ির যুবক শৈলেন রায়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।