বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত

আমরা সবাই জানি, শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নিষেকের মাধ্যমে নারী মানবদেহের মধ্যে নতুন প্রাণের সৃষ্টি হয়। শুধু মানুষ নয়, সব স্তন্যপায়ী ও মেরুদণ্ডী বর্গের প্রাণীর ভ্রুণও একই প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়। তবে এবার , শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ছাড়াই কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির দাবি তুলেছেন একদল মার্কিন ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। বুধবার (১৪ জুন) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেম সেলের মাধ্যমে তৈরি এ কৃত্রিম ভ্রুণ এখনো স্বাভাবিক ভ্রুণের মতো পরিপূর্ণতা পায়নি। যতখানি সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক ভ্রুণে হৃৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হয়, সেসময় পেরিয়ে গেলেও কৃত্রিম ভ্রুণটিতে এখনো এমন কিছু ঘটেনি। তবে ভ্রুণটির বৃদ্ধি-বিকাশ অব্যাহত থাকায় গবেষকরা আশা করছেন, দেরিতে হলেও ভ্রুণটিতে হৃৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হবে।

আরও পড়ুন: ডিম আগে না মুরগি আগে? উত্তর দিলেন বিজ্ঞানীরা

গবেষক দলের প্রধান, যুক্তরাজ্যের কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক ম্যাগডালেনা জেরনিকা গোয়েৎজ বলেন, ২০২২ সালে তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দল ইসরায়েলের ওয়েইজমান ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা করে। সেসময় একটি ইঁদুরের ভ্রুণ থেকে কোষ নিয়ে সেটিতে পুনর্গঠনের (রি-প্রোগ্রাম) মাধ্যমে ভ্রুণে পরিণত করতে সফল হয়েছিলেন তারা।

‘তারপর আমাদের মনে হলো, একই পদ্ধতিতে কৃত্রিম মানব ভ্রুণও তৈরি করা সম্ভব। যেমন ভাবা তেমন কাজ। মানব ভ্রুণ থেকে কোষ সংগ্রহ করে পুনর্গঠনের মাধ্যমে শুক্রানু-ডিম্বানু ছাড়াই নতুন ভ্রুণ তৈরি করেতে সক্ষম হই।’

আরও পড়ুন: পাচার করা শুক্রাণুতে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ফিলিস্তিনি নারী

বুধবারের ওই সম্মেলনে জেরনিকা গোয়েটজ আরও বলেন, গবেষণাগারে তারা যে ভ্রুণটি সৃষ্টি করেছেন— সেটিও স্বাভবিক ভ্রুণের মতোই বিকশিত হবে বলে আশা করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, মানব জরায়ুর ভেতরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেকের পর নিষিক্ত কোষটি ভ্রুণের আকার পেতে ১৪ দিন সময় লাগে। স্বাভাবিক মানবভ্রুণের মতো আমাদের সৃষ্ট ভ্রুণটিও কোষ ও অ্যামনিওন (এক প্রকার ঝিল্লি) আলাদাভাবে শনাক্ত করার পর্যায়ে পৌঁছেছে। সুতরাং সামনের দিনগুলোতে আরও বিকশিত হয়ে এটি একটি পরিপূর্ণ ভ্রুণ হয়ে উঠবে, এটা খুবই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যৌন হয়রানির অভিযোগ আইনপ্রণেতার

জেরনিকা গোয়েটজের দাবি, তাদের এ প্রকল্প যদি সফল হয়, তাহলে মানুষের জেনেটিক রোগব্যাধি ও শারীরিক জটিলতার কারণে গর্ভপাত রোধবিষয়ক গবেষণা অনেকদূর অগ্রসর হবে।

সূত্র: সিএনএন

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।