পশ্চিমবঙ্গে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও নিয়ে তোলপাড়


প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ নেতা-নেত্রী ও এক পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার ভিডিও নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগ দাবী করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও বিজেপি।

মঙ্গলবার দেশের পার্লামেন্টেও তুমুল বিবাদ হয়েছে এ ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে। কেন্দ্রীয় অ্যাজেন্সি দিয়ে তদন্ত অথবা পার্লামেন্টের তদন্তের দাবী উঠেছে।

নারদনিউজ নামের একটি সংবাদ পোর্টাল দাবী করেছে, তারা প্রায় দু’বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা নেত্রীর ঘুষ নেওয়ার ছবি তুলেছে। এই স্টিং অপারেশনে যেসব নেতা নেত্রীদের ছবি দেখা গেছে, তারা কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা, কেউ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের মন্ত্রী, কেউ সংসদ সদস্য অথবা বিধায়ক। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকেও ঘুষ নিতে দেখা গেছে।

ওই সংবাদ পোর্টালের প্রতিনিধি নেতা-নেত্রীদের কাছে সুবিধা আদায় করে নেওয়ার বদলে ঘুষ দিচ্ছেন – এমন ছবিই দেখা গেছে। পোর্টালটির দাবী, তাদের কাছে ৫২ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড করা আছে, কিন্তু তারা প্রকাশ করেছে মাত্রই আধঘণ্টার কিছু বেশি ফুটেজ।

তৃণমূল কংগ্রেস দল অবশ্য বলছে, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজনৈতিক চক্রান্ত করতে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা ভিডিওটিকে তারা ‘ডক্টর্ড’ বা ব্যাপক কাঁটাছেড়া করা ভিডিও বলে মন্তব্য করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে।

এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরেই প্রতিবাদে নেমেছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস আর বি জে পি। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে সি পি আই এমের সংসদ সদস্য মুহম্মদ সেলিম বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের যেসব সংসদ সদস্যকে ঘুষ নিতে দেখা গেছে, তাদের সঙ্গেই এই সংসদে বসে থাকতে লজ্জা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু ওই প্রসঙ্গে সংসদে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার চায় এই ঘটনার তদন্ত হোক। সেটা কোনো কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সিকে দিয়েও করানো যেতে পারে, অথবা সংসদের স্পিকার এথিকস কমিটির মাধ্যমেও তদন্ত করাতে পারেন।

কলকাতায় বিজেপি এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগ আর সিবিআই তদন্তের দাবীতে পথ অবরোধ করে। পুলিশকে সেই অবরোধ তুলতে হাল্কা লাঠি চার্জও করতে হয়েছে।



এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।