সিলেটে উৎসবের আমেজে চলছে ভোটগ্রহণ


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ২২ মার্চ ২০১৬

সিলেটে সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে উৎসবের আমেজে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটারদের সারি দীর্ঘ হতে শুরু করেছে। সকাল নয়টায় খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সিলেট এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন অসংখ্য নারী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কঠোর অবস্থানে থাকায় অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রার্থী-সমর্থক ও ভোটাররা। ভোটের প্রথম দেড় ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রার্থী বা ভোটার নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম।

ভোটাররা আজ তাদের পছন্দের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। এবার প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচনের আমেজ অন্যরকম। সিলেট সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গত ১৫ দিন ছিল তীব্র নির্বাচনি উত্তাপ। পাড়ামহল্লার অলিগলি, দোকানপাট সবখানেই নির্বাচনী আলোচনা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই পরিবেশ থাকা না থাকা নিয়েও শঙ্কার কথা বলছেন ভোটাররা।

দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় সিলেট বিভাগের শুধুমাত্র সিলেট সদর উপজেলার আট ইউনিয়নের মোট ৯৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এরমধ্যে ৫০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে রয়েছে দেড় সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে র‌্যাব-৯ ও বিজিবি সদস্যরা। এছাড়া প্রতি ৩টি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে একটি করে মোবাইল টিম, পুরো উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবেন একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দলের সদস্যরা ভোট কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, আজ সিলেট সদর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মোট ৫৩০ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ জন চেয়ারম্যান, ৩৫৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৯১ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ৮ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ৭ হাজার ৩৭০ জন।

ভোটে অংশ নেয়া ৪০ চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, টুলটিকর ইউনিয়নে আবদুল মছব্বির (আ.লীগ), কাজী মুহিবুর রহমান (বিএনপি), এসএম আলী হোসেন (স্বতন্ত্র-আ.লীগ বিদ্রোহী), লুৎফুর রহমান (স্বতন্ত্র)।

খাদিমপাড়া ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম বেলাল (আ.লীগ), মো. ফারুক আহমদ (বিএনপি), সেলিম আহমদ (জাপা), হাফিজ শরীফ আহমদ (ইসলামী আন্দোলন), মো. আফছার আহমদ (স্বতন্ত্র-আ.লীগ বিদ্রোহী), মোজাম্মিল হোসেন লিটন (স্বতন্ত্র), মুফতি মাওলানা মো. জাকারিয়া (স্বতন্ত্র) ও ফজলুল হক (স্বতন্ত্র)।

খাদিমনগর ইউনিয়নে তারা মিয়া (আ.লীগ), ইলিয়াস আলী (বিএনপি), ডা. বাবুল আহমদ (স্বতন্ত্র), সিরাজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।

মোগলগাঁও ইউনিয়নে হিরন মিয়া (আ.লীগ), মাসুদ মিয়া (বিএনপি), নাজির উদ্দিন (স্বতন্ত্র), শামসুল ইসলাম (স্বতন্ত্র)।

জালালাবাদ ইউনিয়নে আশরাফ আলী (আ.লীগ), ইসলাম উদ্দিন (বিএনপি), মনফর আলী (স্বতন্ত্র), ফয়সল আহমদ তারা মিয়া (স্বতন্ত্র), আতিকুর রহমান (স্বতন্ত্র)।

হাটখোলা ইউনিয়নে খুর্শিদ আহমদ (আ.লীগ), আজির উদ্দিন (বিএনপি), চাঁন মিয়া (স্বতন্ত্র), রহমত উল্লাহ (স্বতন্ত্র), শাকিব জামান (স্বতন্ত্র), শামস উদ্দিন (স্বতন্ত্র), মো. রফিকুজ্জামান (স্বতন্ত্র)।

কান্দিগাঁও ইউনিয়নে নিজাম উদ্দিন (আ.লীগ), আহমদ আলী (বিএনপি), আবদুল মনাফ (স্বতন্ত্র), আবদুল মতিন সামাদ (স্বতন্ত্র), সাজ্জাদ মিয়া (স্বতন্ত্র)।

টুকেরবাজার ইউনিয়নে আলতাফ হোসেন (আ.লীগ), শহীদ আহমদ (বিএনপি), দেলোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র)।

ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।