জিডির ‘অপেক্ষায়’ জোহাকে খুঁজেনি র্যাব-পুলিশ
দেশের গণমাধ্যমগুলোর কাছে বিশিষ্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ তানভীর হাসান জোহার নিখোঁজের অভিযোগ করেন তার স্ত্রী কামরুন নাহার। তবে নিখোঁজের বিষয়টি ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ এখনো ‘জানে না’ র্যাব-পুলিশ। নিখোঁজের লিখিত কোনো অভিযোগ না করায় জোহাকে খুঁজতে কোনো অভিযান চালায়নি র্যাব-পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার রাত থেকে জোহা রাজধানীর কচুক্ষেত থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৭ দিন পর মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয় সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ।
নিখোঁজের আগে জোহা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্তের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত ছিলেন। তদন্তের শুরুর দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থা জোহার সাহায্য নিয়েছিল। তবে তার নিখোঁজের পর তাকে উদ্ধারে কোনো তৎপরতাই দেখায়নি র্যাব-পুলিশ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) সমমর্যাদার এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘জোহার নিখোঁজের বিষয়ে পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি। তার পরিবারের কেউ এ বিষয়ে থানায় কমপ্লেইন করেননি।’
তবে নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার জোহার স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বুধবার রাত থেকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট, কাফরুল ও কলাবাগান থানায় জোহার অপহরণ-নিখোঁজের জন্য জিডি করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি।
জোহাকে খুঁজে বের করার বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জাগো নিউজকে বলেন, জোহার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি করা হয়নি। র্যাবের কাছেও তার নিখোঁজ কিংবা অপহরণের অভিযোগ আসেনি। আমরা গণমাধ্যম থেকে নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরেছি।
অবশেষে মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দর এলাকায় ‘উদভ্রান্তের’ মতো ঘোরাফেরা করায় তাকে উদ্ধার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
তাকে উদ্ধারে কোনো তৎপরতা না দেখালেও র্যাব-পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জোহার চাচা মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, নিখোঁজের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে থানায় মামলা বা জিডি করা যায়নি। তবে তাদের সহযোগিতায় আবার জোহাকে ফেরতও পাওয়া গেছে। জোহাকে ফিরে পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
নিখোঁজ হওয়ার আগে জোহা নিজেকে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও র্যাবের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে মুফতি মাহমুদ খান জাগো নিউজকে বলেন, র্যাবের সঙ্গে সবাই কাজ করে। সাধারণ মানুষও র্যাবকে নানা ধরনের তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। কাউকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়ে র্যাবের সঙ্গে কাজ করানো হবে এমনটি নয়।
এআর/এসএইচএস/এবিএস