‘ইসকন সবচেয়ে বড় প্রতারক, কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

ভারতের ধর্মীয় সংগঠন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপির সংসদ সদস্য মানেকা গান্ধী। তার দাবি, দেশের সবচেয়ে বড় প্রতারক হচ্ছে ইসকন। তারা নিজেদের গোশালার গরু কসাইদের কাছে বিক্রি করেন। তবে তার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইসকন। তাদের দাবি, মানেকার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা’।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা পশুপ্রেমী হিসেবেও সুপরিচিত। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। তার স্বামী সঞ্জয় গান্ধী বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ইন্দিরা গান্ধীর অপর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে-মেয়ে কংগ্রেসের রাজনীতি করলেও মানেকা ও তার ছেলে বরুণ গান্ধী বিজেপিতে সক্রিয় রয়েছেন।

আরও পড়ুন: মৃত স্বামীর কণ্ঠ শুনতে ১৬ বছর ধরে রোজ মেট্রো স্টেশনে যান স্ত্রী

পশুহত্যার বিরুদ্ধে মানেকাকে বরাবরই সক্রিয় হতে দেখা গেছে। ইসকনের বিরুদ্ধে একটি ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে, ইসকন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতারক। তারা গোশালা চালায় এবং সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেয়।

তিনি অন্ধ্রপ্রদেশে ইসকনের অনন্তপুর গোশালা পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা সবাইকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেখানে কোনো গরু ছিল না। সেখানে তিনি কোনো বাছুরও দেখেননি। অর্থাৎ সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

মানেকা বলেন, তার মানে সেখানকার সব গরু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ইসকন কসাইদের কাছে গরুগুলো বিক্রি করেছে। ওরা যা করছে এমনটা আর কোনো সংস্থা করে না। এরপরেই ওরা রাস্তায় গিয়ে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ গায়।  তারা বলে বেড়ায় তাদের জীবন গরু এবং এর দুধের ওপরই নির্ভরশীল। সম্ভবত এত বেশি বাছুর অন্য কোনো সংস্থাই বিক্রি করে না।

আরও পড়ুন: কোটি টাকার লটারি জিতে প্রথমেই কিনলেন স্ত্রীর জন্য ফুল

মানেকার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসকন। সংস্থাটির মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, মানেকার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার দাবি, এখানে তারা সারা জীবন ধরেই গরু ও ষাঁড়ের সেবা করে আসছেন। কখনো তারা কসাইদের কাছে গরু বিক্রি করেননি। মানেকার মতো ইসকনের এমন একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর এই ধরনের মন্তব্যে অবাক হয়েছেন বলেও জানান যুধিষ্ঠির।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।