লুকিয়ে তিন বিয়ে

স্বামীকে শায়েস্তা করতে একসঙ্গে হাজির দুই ‘বউ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

এক যুবককে নিয়ে দুই ‘বউয়ের’ টানাটানি। তবে প্রতিযোগিতা নয়। বরং কথিত স্বামীকে শায়েস্তা করতে একসঙ্গেই হাজির হয়েছেন দুই নারী। একেকজনের অভিযোগ একেকরকম। কিন্তু যুবকের পাল্টা দাবি, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে।

কালনার ধর্মডাঙা গ্রামের বাসিন্দা শুভঙ্কর হালদার। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাড়ির সামনে হঠাৎ ধরনায় বসে পড়েন দুই নারী। দুজনেই নিজেকে ওই যুবকের স্ত্রী বলে দাবি করেন!

আরও পড়ুন>> সরকারি চাকরি পাওয়া যুবককে তুলে নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিলেন বাবা

গ্রামবাসীরা জানান, শুভঙ্কর বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেই স্ত্রীর সঙ্গে এখন আর কোনো সম্পর্ক নেই।

নিজেকে দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয় দেওয়া চামেলি হালদারের দাবি, স্বামী তাকে খেতে দিতেন না। কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতে রয়েছেন তিনি। এমনকি, আগে যে একবার বিয়ে করেছিলেন, সেই কথা নাকি চেপে গিয়েছিলেন শুভঙ্কর।

চামেলির বক্তব্য, আমার স্বামীর তিনটি বিয়ে। এখানে ওখানে বিয়ে করে সংসার পাতিয়ে থাকে। আজ সেই প্রমাণ হাতে নিয়েই এসেছি। এই নারীকেও বিয়ে করেছে। আমার আগে একজনকে বিয়ে করেছিল, তা জানায়নি। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দাবি জানাতে এখানে এসেছি।

আরও পড়ুন>> স্বামী থাকবে, প্রেমিককেও চাই: দুই বিয়ের দাবিতে থানায় হাজির তরুণী

অন্যদিকে কাকলি নামে আরেক নারী একটি নথি দেখিয়ে শুভঙ্করের সঙ্গে তার রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করেন। স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে তিনি জানান, শুভঙ্কর আমাকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছে। ওর বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছিল। বাড়ি বন্ধক রেখে সেই টাকা দিয়েছিলাম।

তিনি আরও জানান, কালনায় আত্মীয় বাড়ি থেকেই ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়। শুভঙ্কর জানায়, ও স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে। বহুদিন আমার কাছে ছিল। খাওয়াপরা থেকে যাবতীয় খরচ আমি বহন করেছি। দফায় দফায় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না। অন্য একজনের প্রেমে পড়েছে। এখন ওকে দেওয়া পুরো টাকা ফেরত দিক, নাহলে আমাকে ঘরে তুলুক।

আরও পড়ুন>> ‘স্বামী চাই’/ রাস্তায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে বর খুঁজছেন মার্কিন তরুণী

যদিও শুভঙ্কর বলছেন, একজন আমার বিবাহিত স্ত্রী। তার সঙ্গে চার বছর সংসার করেছি। আমি বাড়িতে ছিলাম না। সেই সময় পরিবারের সবার নামে মামলা করেছিল। আর একজন যে নারী এসেছেন, তিনি কালনার কদমতলায় থাকেন। আমার মতো বেশ কয়েকজনকে তিনি ফাঁসিয়েছেন।

ঘটনাস্থলে এসে পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মণ্ডল জানান, কাগজপত্র দেখে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তাই তাদের কিছু করার হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন, জি নিউজ
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।