লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে টাস্কফোর্সের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বহু দেশের সমন্বয়ে নতুন টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথিদের হামলা থেকে জাহাজগুলোকে রক্ষা করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে লহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা শুরু করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর বেশ কয়েকটি কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন>একদিনে ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত, পিছিয়েছে যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব

এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, বহু দেশ নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা উদ্যোগে বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, সিসিলি ও যুক্তরাজ্য যোগ দেবে। মোট ১০টি দেশের মাধ্যমে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে।

গাজা থেকে শত শত মাইল দূরে অবস্থিত সুয়েজ খাল। এই খালের মাধ্যমেই লোহিত সাগর দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে জাহাজ চলাচল করে, যা দূরত্ব কমিয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে সুয়েজ খালে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ ডিসেম্বরের পর পাঁচটি বড় কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি (সিএমএ সিজিএম, হ্যাপাগ-লয়েড, মারস্ক ও এমএস) লহিত সাগরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যে নেভাল কার্যক্রম জোরালো করেছে। লহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে তারা হুথির বিরুদ্ধে অভিযানও পরিচালনা করতে পারে।

আরও পড়ুন>যুদ্ধ বন্ধ না হলে বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা নয়: হামাস

আফ্রিকা ও আরব পেনিনসুলাকে আলাদা করেছে বাবএলমান্দেব প্রণালী। যেখান দিয়ে বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্য ও ৩০ শতাংশ কন্টেইনার ট্রাফিক সম্পন্ন হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হুথির হামলার কারণে জাহাজ চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা, দ্য ইকোনমিস্ট

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।