ভারতে মসজিদ-মাদরাসা ভাঙা কেন্দ্র করে দাঙ্গা, নিহত ২
![ভারতে মসজিদ-মাদরাসা ভাঙা কেন্দ্র করে দাঙ্গা, নিহত ২](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/riot-in-india-20240209122921.jpg)
ভারতের উত্তরাখণ্ড প্রদেশে একটি মসজিদ ও মাদরাসা গুড়িয়ে দেওয়ার কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় দুইজন নিহত ও অন্তত ২৫০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এমনকি, দাঙ্গাকারীদের দেখা মাত্রই গুলি করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় সরকারি জমিতে ওই মসজিদ ও মাদরাসা নির্মাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আদালতের আদেশের পরে বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল ওই মাদরাসা ও পাশের মসজিদ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে।
তবে মাদরাসা ও মসজিদ ভাঙতে গিয়ে বনভুলপুরার স্থানীয় জনতার তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় সরকারি দলটি। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পগে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ৫০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হন। তাছাড়া প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা, পৌরসভার কর্মী ও সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা কর্মকর্তাদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। পাল্টা জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। নারীসহ বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জনতা থানার বাইরে থাকা ২০টিরও বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও প্রাদেশিক আর্মড কনস্ট্যাবুলারির বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
হলদওয়ানির জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনা বলেছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই মাদরাসা ও মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, আদালতের নির্দেশের পরে ওই মসজিদ ও মাদরাসা ধ্বংস করার জন্য দল সেখানে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এলাকার কিছু ‘অসামাজিক মানুষ’ পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমি এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
যে মাদ্রাসাটি ভাঙা হয়েছে, সেটি মূলত একটি রেলওয়ে কলোনির অংশ। সেখানে প্রায় ৪ হাজার পরিবার বসবাস করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই রেলের জন্য এই কলোনির জমি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে একবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ