ভেনেজুয়েলায় সোনার খনি ধসে নিহত ২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় একটি সোনার খনি ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির মধ্যাঞ্চলে বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনির মাটির দেয়াল ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। খবর আল জাজিরার।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ইয়োরগি আর্চিনিয়েগা নামের এক স্থানীয় কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বলিভার রাজ্যের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত একটি খনি থেকে প্রায় ২৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেসামরিক সুরক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী কার্লোস প্যারেজ অ্যাম্পুয়েদা সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করলেও তিনি কোনো সংখ্যা জানাননি।

একটি ভিডিওটি দেখা গেছে, খনিটিতে কাজ করার সময় শ্রমিকদের ওপর ধীরে ধীরে মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে পড়ছে। কয়েকজন সেখান থেকে দ্রুত পালাতে সক্ষম হলেও বেশ কয়েকজন আটকা পড়েন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সোনার খনিতে প্রায় ২০০ জন কাজ করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লা প্যারাগুয়া শহর থেকে সেখানে সাত ঘণ্টা নৌকায় পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।

বলিভার রাজ্যের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের হতাহতের খবরে তাদের স্বজনদের বন্দরে জড়ো হতে দেখা যায়।

নৌকা থেকে একটি মৃতদেহ নামানোর সময় একজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমার ভাই, আমার ভাই, আমার ভাই। এক নারী তার এক স্বজনের খবর পেয়ে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, আমরা আহতদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার দিয়ে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

আরও পড়ুন: 

এডগার কোলিনা রেয়েস বলেন, সেনাবাহিনী, দমকলের কর্মীরা এবং অন্যান্য সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। সোনা, হীরাসহ বেশ কিছু মূল্যবান সম্পদে সমৃদ্ধ বলিভার অঞ্চল। রাষ্ট্রীয়ভাবে খনি পরিচালনা ছাড়াও সেখানে বেশ কিছু খনিতে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।