বিদেশিদের ওপর হামলা

কিরগিজস্তানে দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, ১৮ মে ২০২৪

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে দলবেঁধে হামলা করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশটির রাজধানী বিশকেকে। হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে কিরগিজস্তানে বসবাসরত নিজ নিজ নাগরিকদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। মধ্য এশিয়ার দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিও রয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কিরগিজস্তানে বসবাসরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকতে এবং দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আরও পড়ুন>>

বিশকেকের ভারতীয় কনস্যুলেট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবু শিক্ষার্থীদের আপাতত ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যেকোনো সমস্যায় সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে শনিবার (১৮ মে) ডন জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবনগুলোতে হামলা চালায় শত শত কিরগিজ পুরুষ। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছেন।

ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে কিরগিজস্তানে বসবাসরত পাকিস্তানে শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানি দূতাবাস।

আরও পড়ুন>>

কিরগিজ পুলিশ বলছে, তারা সহিংসতা দমনে রাজধানীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে।

কী ঘটেছিল
বিশকেকের পাকিস্তানি দূতাবাস জানিয়েছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়।

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by Dawn Today (@dawn.today)

তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশ কিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

বিশকেকে মুহাম্মদ তাকি নামে এক পাকিস্তানি মেডিকেল শিক্ষার্থী ডনকে বলেছেন, স্থানীয়রা রাতভর ছাত্র ও ছাত্রীদের হোস্টেলে আক্রমণ চালিয়েছে। পরিস্থিতি এখন ঠান্ডা থাকলেও তারা দ্বিতীয়বার হামলার আশঙ্কা করছেন।

আরও পড়ুন>>

ওই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ও ধর্ষণের দাবি করা হয়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পাকিস্তানি দূতাবাস।

ফেসবুকের এক পোস্টে তারা বলেছে, বিশকেকে হামলার শিকার হোস্টেলগুলোতে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীরা থাকেন। এই সহিংসতা কেবল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে নয়, বরং সব বিদেশি শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।