ইসরায়েলি অভিযানের মুখে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা

টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে জেনিনে ঘর-বাড়ি ছাড়ছেন শত শত বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের শহরটিতে ড্রোন থেকে অভিযানের বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছিল।
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানটিতে ভারী সামরিক সরঞ্জামসহ হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের এক মুখপাত্র বলেন, শহরটির শরণার্থী শিবিরে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতির তথ্যেরভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন>
- যুদ্ধে নিহত ৭৫৭ সেনার মরদেহ গ্রহণ করেছে কিয়েভ
- যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ধরপাকড়, দু’দিনেই গ্রেফতার কয়েকশ অবৈধ অভিবাসী
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যেন জেনিনের ক্যাম্প থেকে অন্যান্য জায়গাতেও অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।
এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে নারী এবং শিশুরা। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে এক ধ্বসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। সেখানে মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল, আবাসিক ভবন এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চলছে। কিন্তু এমন এক পর্যায়ে এসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে যখন ফিলিস্তিনিরা পুরোপুরি নিঃস্ব। তাদের হারানোর আর কিছু বাকি নেই। তাদের মাথার ওপরের ছাদ, পায়ের নিচের মাটি, খাবার সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে দখলদার বাহিনী।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, আল-জাজিরা
এমএসএম