সুইডেনে কোরআন পোড়ানো সেই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
সালওয়ান মোমিকা /ছবি: সংগৃহীত

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি থাকা ইরাকি শরণার্থী ও ইসলামবিরোধী কর্মী সালওয়ান মোমিকা গুলিতে নিহত হয়েছেন। আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে স্টকহোমের নিকটবর্তী সডারতালিয়ে শহরে তাকে গুলি করা হয়। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সুইডিশ পুলিশ।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে মোমিকাকে গুলি করার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তবে গুলি চালানো ব্যক্তিও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন কি না, তা নিশ্চিত করা হয়নি।

সুইডিশ সংবাদমাধ্যম এসভিটি জানিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী মোমিকা একটি বাড়ির ভেতর গুলিবিদ্ধ হন। হত্যার সময় তিনি টিকটকে লাইভে ছিলেন। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার ফোনটি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে, একই মামলার আরেক অভিযুক্ত ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আমি পরবর্তী টার্গেট হতে পারি। এমন আশঙ্কায় তিনি তার নিরাপত্তা চেয়েছেন।

সুইডিশ সিকিউরিটি সার্ভিস জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখছে ও এটি দেশের নিরাপত্তায় কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা মূল্যায়ন করছে।

২০২৩ সালে সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর জঙ্গি হামলার হুমকি বৃদ্ধি পায় ও দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী সতর্কতা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। যদিও সুইডিশ সরকার কোরআন পোড়ানোর ঘটনাগুলোর নিন্দা জানায়, তবে প্রথমদিকে এটিকে সুইডেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অংশ হিসেবে বিবেচিনা করে।

২০২৩ সালে মোমিকা প্রকাশ্যে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ‘জাতিগত বা জাতীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক উসকানির’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) স্টকহোম আদালতে তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা ছিল।

সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি ২০২৩ সালে মোমিকাকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ তিনি নথিতে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। তবে ইরাকে তার ওপর নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ঝুঁকি থাকায় তাকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

সূত্র: রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।