গাজায় যুদ্ধবিরতি দিয়ে পশ্চিম তীরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জেনিনে একসঙ্গে ২৩টি ভবন বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী/ ছবি: এএফপি

গাজা উপত্যকার পর এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরটি ধ্বংস করতে শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পশ্চিম তীরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।

জানা গেছে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জেনিনে একসঙ্গে ২৩টি ভবন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। একই দিনে সত্তরোর্ধ্ব এক ফিলিস্তিনিসহ দুজনকে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন মুখপাত্র বলেন, ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ তৈরি ঠেকাতে রোববার জেনিন শরণার্থীশিবিরের আদ-দামজ এলাকায় অন্তত ২৩টি ভবন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পশ্চিম তীরে শুরু হওয়া এই অভিযানে ৫০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করারও দাবি করেছে আইডিএফ।

আরও পড়ুন: 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিনে আবাসিক এলাকা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ৭৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। পৃথক ঘটনায় পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় আররোব এলাকায় মোহাম্মদ আমজাদ হাদোশ নামের ২৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, আশপাশের শহর থেকেও তা শোনা যায়। দূর থেকে আকাশে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়াও দেখা যায়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে, জেনিনে এভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এই ঘটনাকে ‘নৃশংস’ বলে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে, জেনিন ও তুলকারম শরণার্থীশিবিরে গোটা আবাসিক এলাকা ধ্বংস ঠেকাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর পরপরই অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ‘আয়রন ওয়াল’ নামে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।