কুমিল্লায় নারীকে ধর্ষণ

নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিবেদন না দেওয়ায় এসপিকে তলব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৫
ফাইল ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণের শিকার নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আদেশ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ আগস্ট তাকে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন্নবী নিজেই শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

‘দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা’ শিরোনামে গত ২৯ জুন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন্নবী এ বিষয়ে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৯ জুন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।

আদেশে ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন থেকে ভুক্তভোগীর ভিডিও ও ছবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই বিবাদীদের ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ওঠে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কুমিল্লার পুলিশ সুপার লিখিত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণে তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী মীর এ কে এম নূরুন্নবী জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের দায়িত্ব ছিল ওই ঘটনায় করা মামলার অগ্রগতি এবং ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তার বিষয় জানানো। লিখিতভাবে তা ১৪ জুলাই দেওয়ার কথা ছিল। সেদিন লিখিতভাবে কোনো প্রতিবেদন আসেনি; রাষ্ট্রপক্ষ এক সপ্তাহ সময় নেয়। চলতি সপ্তাহের রোববার (২০ জুলাই) বিষয়টি শুনানিতে উঠলে দুইদিন সময় নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। আবার মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিষয়টি কার্যতালিকায় আসে।

তিনি বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান- তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন; উনি হোয়াটসঅ্যাপে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। আদালত বলেন লিখিতভাবে দিতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে তিনটি তারিখ পার হয়েছে। কেন দিলেন না, তা ওনাকে (পুলিশ সুপার) ১২ আগস্ট হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।