ট্রাইব্যুনালে ইনুর পক্ষে লড়বেন পান্না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আইনজীবী জেড আই খান পান্না/ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে করা মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে লড়বেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনজীবী নিজেই এ কথা জানান। এর আগে তিনি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দেখা করেন।

রাষ্ট্রযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করছে না, বিচার বিভাগ সেই বিচ্যুতির বাইরে নয় বলেও মন্তব্য করেন জেড আই খান পান্না।

গণমাধ্যমের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এ আইনজীবী বলেন, চারিদিকে মব কালচারের দৌড়াত্ম্যে ন্যায্যতা পথ হারিয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাষ্ট্র। সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হকের পক্ষে আইনি লড়াই করবেন বলেও জানান তিনি।

হত্যার সঙ্গে জড়িত যে কারও সাজা হওয়া উচিত মন্তব্য করে মৃত্যুদণ্ড সাজার বিরুদ্ধে তার নৈতিক অবস্থান বলেও জানান জেড আই খান পান্না।

এদিন হাসানুল হক ইনুকে ট্রাইব্যুনালে আনার কথা না থাকলেও মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তরের জন্য তাকে উপস্থিত করা হয়।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুষ্টিয়ায় হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইদিন অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন রাখা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল ওই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহমেদ, প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি হাসানুল হক ইনু আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টিভি চ্যানেলে বক্তব্য দেন এবং আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দিয়ে উসকানি দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে সায় দেন। সরকার কর্তৃক কারফিউ জারিপূর্বক লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যাসহ নির্যাতনকে কৌশলে সমর্থন দেন।

এছাড়া আন্দোলন দমনে গুলি, বোম্বিং ও হত্যাসহ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ অনুমোদন করেন। এসব পরিকল্পনা কার্যকর করতে হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র, সহায়তা ও সম্পৃক্ত থাকাসহ আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে ইনুর বিরুদ্ধে।

এফএইচ/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।