শেষ সাক্ষী ও আইওকে জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার ৫৪তম সাক্ষী ও মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা হবে আজ।

সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষীকে জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

ট্রাইব্যুনালে অন্য সদস্যরা হলেন-বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে টানা তিন দিনের মতো সাক্ষীর জবানবন্দি দেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫৪তম ও সর্বশেষ সাক্ষী।

জবানবন্দিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ও ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেরা শুরু করে বাদবাকি জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আবারো জেরা হবে।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পরে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি পেশ করেছেন।

এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর চলতি বছরের ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। গত ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর ৩ আগস্ট থেকে মামলায় সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলছে।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।