ইস্টার্নের ছাত্র অমিত হত্যায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড


প্রকাশিত: ০৭:৪৯ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসনের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অমিত সাহা হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে শিক্ষার্থী অমিত সাহা হত্যার আসামি আসফাক আহম্মেদ শিহাব ও আল-আমিন ইসলামকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। অপর আসামি রুহুল আমিন রুবেলকে যাবজ্জীনব সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া আসামি আসফাক আহম্মেদ শিহাব, আল-আমিন ইসলাম ও রুহুল আমিন রুবেলকে দণ্ডবিধির ৩৯৪/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

অপরদিকে ৪১১/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আসামি আসফাক আহম্মেদ শিহাব, আল-আমিন ইসলাম ও রুহুল আমিন রুবেল প্রত্যেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

Ashami

দণ্ডপ্রাপ্ত আসফাক আহম্মেদ শিহাব ভিকটিম অমিত সাহের বন্ধু। অপর দুই আসামি পিন্টু ও রুবেল আসামি শিহাবের বন্ধু।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর আসামিরা অমিত সাহকে তাদের পল্লবীর ভাড়া বাসায় খুন করেন। হত্যার পর তার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় অমিতের বাবা শ্যামল চন্দ্র ভূঁইয়া পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।

২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

একই বছরের ২৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৩২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মোট ২১ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

জেএ/এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।