অবৈধ সম্পদ: সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য

ক্যাসিনোকাণ্ডের অন্যতম হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিন ব্যাংক কর্মকর্তা। তারা হলেন- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, সিটি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ খান ও রেবেকা সুলতানা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারা সাক্ষ্য দেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য শেষে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। এদিকে সেলিম প্রধানের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছিল। এই উপ-পরিচালকই মামলাটি তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত তার নামে মোট ৫৭ কোটির বেশি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছেন।
এর আগে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন সেলিম প্রধান।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে ও ক্যাসিনো খেলে সেলিম প্রধান মোট ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। ক্যাসিনো খেলে অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাচার করেছেন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে।
সেলিম জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। তবে সেলিম প্রধানের নামে শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এই টাকা তিনি অর্জন করেছেন অবৈধভাবে।
প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা। ২০১১ সালে মুনাফা করে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। এখান থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে সেলিম প্রধান তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন। তবে এই কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ গ্রহণ করেছেন এ সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র নেই তার কাছে।
জেএ/জেডএইচ/জিকেএস