ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই: দুইজনের দায় স্বীকার, একজন রিমান্ডে

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি হৃদয় ও মিলন। এ নিয়ে নয়জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৮ মার্চ) রিমান্ড চলাকালীন আসামি হৃদয় ও মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে আসামি সোহেল রানা শিশিরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মূল পরিকল্পনাকারী সোহেল গ্রেফতার, উদ্ধার আরও ৮৭ লাখ
গত শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালতে আসামি ইমন ওরফে মিলন, সানোয়ার হোসেন ও বদরুল আলম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তার আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামি মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি আকাশ ও সাগর মাতুব্বরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডাকাতরা চালের বস্তা ও বাজারের ব্যাগে নেয় দুই ট্রাংকের টাকা
গত ৯ মার্চ সকালে উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৪ বক্সের মধ্যে ৩ বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই: আরও তিনজনের দায় স্বীকার
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
জেএ/জেএইচ/এএসএম