ডাচ্-বাংলার টাকা ছিনতাই: আরও তিনজনের দায় স্বীকার

রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আরও তিনজন। জবানবন্দিতে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। আসামিরা হলেন ইমন ওরফে মিলন, সানোয়ার হোসেন ও বদরুল আলম।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) পাঁচদিনের রিমান্ড চলাকালীন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত রোববার (১২ মার্চ) তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মূল পরিকল্পনাকারীর একজন সোহেল রানা মানি প্ল্যান্টের গাড়িচালক
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পাঁচদিনের রিমান্ড চলাকালীন চালক আকাশ, সাগর মাতুব্বর, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়াকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা ছিনতাইয়ের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম আসামি মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি আকাশ ও সাগর মাতুব্বরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৯ মার্চ সকালে উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই হয়। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন: মূল মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার, আরও ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া ৪ বক্সের মধ্যে ৩ বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
জেএ/বিএ/এএসএম