খুলনা ওয়াসার এমডির দুর্নীতি নিয়ে রিট শুনানি মুলতবি

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দায়ের করা রিট (স্ট্যান্ডওভার) মুলতবি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশের পর এ রিটের শুনানি হবে।
এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ বিষয়ে আবেদন করার জন্য বলেছেন আদালত। বিষয়টি রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ)হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমাদুল হক বশির। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আপেল মাহমুদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: ফের বাড়লো খুলনা ওয়াসার পানির দাম
এর আগে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমাদুল হক বশির এ রিট করেন। এতে তাকে বারবার ওয়াসার এমডি নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি), জনপ্রশাসন সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির বলেন, ওয়াসার এমডি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার পর নিজে তার বিষয়ে নিজেই বিজ্ঞপ্তি দেন। নিজেকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেন। মাসে আড়াই লাখ টাকা ভাতা তোলেন। এটাকে ওয়াসার নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, খুলনার পানিতে লবণাক্ততা রয়েছে। এ সমস্যা দূর করতে আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে ওয়াসা। অথচ পানির লবণাক্ততা দূর করার কোনো খবর নেই। এছাড়া তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে চাকরি বা কাজের নামে সযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। এসব দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে রিট করেছি।
ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর ওয়াসার এমডি হিসেবে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ। এরপর তিনি পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৪১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়াসহ মোট দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানী পান ওয়াসার এমডি। এরমধ্যে আয়কর ও অন্যান্য সরকারি খরচ বাদ দিয়ে তিনি দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে জেলা পরিষদের গেস্ট হাউজ ‘রূপসা’র দ্বিতীয় তলার এক নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেন প্রকৌশলী মো. আবদুল্লাহ। ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২ নম্বর সাধারণ কক্ষে চলে আসেন তিনি। সেই থেকে এখনো কক্ষটি ব্যবহার করছেন।
এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস