জাহাঙ্গীর মেয়র পদে ফিরবেন কি না, রায় বৃহস্পতিবার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্যে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন।

আরও পড়ুন>>> মেয়র জাহাঙ্গীরকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

আদালতে আজ জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম কে রহমান ও ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।

গত বুধবার (২২ মার্চ) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষ করা হয় আজ।

আদালতে ওইদিন জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।

জাহাঙ্গীরের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ রুলের প্রাথমিক শুনানি হয়েছে। আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যেসব অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো চলমান।

আরও পড়ুন>>> গাজীপুরের জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করলো আওয়ামী লীগ

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলমকে যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আগেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পাইনি।

গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুন>>> বহিষ্কৃত গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর এবার দুদকের জালে

জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো কী-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। কোথাও অবৈধভাবে জায়গা দখল করা, জনগণের স্বার্থপরিপন্থি কাজ করা এবং কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তাকে সেখানে অবকাঠামো ক্ষতিপূরণ না দিয়ে জোর-জবরদস্তি করা এসব অভিযোগ আছে।

আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সেখানে মেয়রদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে। মেয়রের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে কেন্দ্র করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।