যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, রিটের ওপর আদেশ আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেফতার যশোর যুবদলের সহ-সভাপতি ও কলেজ শিক্ষককে হাসপাতালে চিকিৎসার সময় ডান্ডাবেড়ি পরানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের বিষয়ে আদেশ আজ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ। আজ এ বিষয়ে অধিকতর শুনানি হতে পারে। অধিকতর শুনানিতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল।

যুবদল নেতা ও কলেজ শিক্ষক আমিনুর রহমান মধুকে চিকিৎসার সময়েও ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা লাভনী রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বৈধতা প্রশ্নে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় কারাবন্দিদের হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে প্রিজনার্স অ্যাক্ট ও জেল কোড প্রয়োগে উপযুক্ত গাইডলাইন সুপারিশের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

যথাযথ ও সুচিকিৎসার জন্য আমিনুরকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অথবা সমমানসম্পন্ন ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

গত ২৯ নভেম্বর যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। ওই দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।তিনি আদালতের কাছে সুয়োমোটো (স্বঃপ্রণোদিত) আদেশ প্রার্থনা করেন।

তখন হাইকোর্ট বলেছিলেন, ‘জঙ্গি সম্পৃক্ততাসহ হিনিয়াস ক্রাইমের (জঘন্য অপরাধের) ক্ষেত্রে সাধারণত অপরাধীকে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক সিদ্ধান্তও রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে, সে বিষয়ে গাইডলাইন আছে। ’

তখন আদালত স্বঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেবেন না বলে রিট করার পরামর্শ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মধুর স্ত্রী এই রিট দায়ের করেন।

গত ২ নভেম্বর যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ গ্রাম থেকে পুলিশ মধুকে আটক করে। এরপর ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আমিনুর রহমান মধুর দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ও ডানহাতে হাতকড়া লাগানো অবস্থায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে তার চিকিৎসা দেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এফএইচ/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।