ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গুলি: যুবদলের নয়নসহ ৪ জনের নামে মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন/ছবি সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে চলা প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা ও গুলির ঘটনায় ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, ইসলামী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আকিজ উদ্দিন ও মিফতাহ উদ্দিন এবং ইভিপি মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালতে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত মামলার এজাহার গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আকিজ উদ্দিন ও মিফতাহ উদ্দিন ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি এবং আসামি নেয়ামত উল্লাহ ইভিপি পদে অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে নিযুক্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত ছিলেন। তারা ব্যাংকের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনকালে নানাবিধ কুকর্ম, অপরাধ, ঋণ কেলেঙ্কারি, অনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এছাড়াও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে ব্যাংকের আর্থিক ও ব্যবসায়িক সুনামের ক্ষতি করেন।

এতে আরও বলা হয়, গত ১১ আগস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ব্যাংকের ৩০০ থেকে ৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাংকে বৈষম্য, অনিয়ম এবং বেআইনি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। কর্মসূচি চলাকালে বেলা ১১টায় আসামি রবিউল ইসলাম নয়নের নেতৃত্বে ডিএমডি আকিজ উদ্দিন, ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন এবং ইভিপি মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহসহ দুই শতাধিক দুর্বৃত্ত হত্যা, আঘাত এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় এবং বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আসামিরা কয়েকজনকে নির্দেশ দিলে তারা বিক্ষিপ্তভাবে প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরতদের ওপর গুলিবর্ষণ করে এবং বেধড়ক মারধর করেন। এতে ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমানসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তারা হলেন- ব্যাংকের গোডাউন গার্ড শফিউল্লাহ সরকার, মো. এনামুল হক, অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র অফিসার আব্দুর রহমান ও বাকী বিল্লাহ।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসীরা ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বন্ধ না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এদিকে গোলাগুলির শব্দ শুনে আশপাশে কর্তব্যরত সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে আসামিরা পালিয়ে যান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩৪/১৪১/২৯৯/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৯৬/৩৯৭/৩৯৮/ ৪০২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

জেএ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।