গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে লিচু

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ১২ মে ২০২৫

গ্রীষ্মকাল মানেই রোদের তাপ, ক্লান্তি আর শরীরের পানিশূন্যতা। ঠিক এই সময়টায় বাজারে আসে একরাশ সুমিষ্ট, রসালো লিচু। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও লিচু অনন্য। তবে মিষ্টি এই ফলটি উপকারের পাশাপাশি কিছু সতর্কতা ছাড়াও খাওয়া ঠিক নয়। চলুন জেনে নেই গরমে লিচু খাওয়ার কার্যকরী কিছু টিপস; যেন শরীর থাকে সুস্থ, আর স্বাদে থাকে প্রশান্তি।

>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লিচু খান
লিচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত লিচু খেলে সহজে ঠান্ডা-সর্দি বা ইনফেকশন হয় না। গরমে যখন ভাইরাল জ্বর বা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে, তখন এই ফল হতে পারে সজীবতার চাবিকাঠি।

>> হজমে সাহায্য করে
গরমে অনেকেরই হজমে সমস্যা দেখা দেয়। লিচুতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। বিকেলের নাস্তার সঙ্গে কয়েকটি লিচু খাওয়া যেতে পারে।

>> পানিশূন্যতা রোধে প্রাকৃতিক সমাধান
লিচুর ৮০ ভাগই পানি। তাই তাপদাহে যখন ঘামে শরীর ক্লান্ত, তখন লিচু খাওয়া দারুণ উপকারী। এটি শরীরে তরল বজায় রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে।

>> ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় সহায়ক
লিচুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষকে সজীব রাখে এবং রোদে পোড়া ত্বক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। রোজ সকালে ৫–৬টি লিচু খেলে ত্বকে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

>> হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর
লিচুর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে রাখে সচল। উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাও পরিমিত লিচু খেতে পারেন।

>> মস্তিষ্ক সচল রাখে
লিচুর ভিটামিন বি ও কপার নিউরনের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা গরমে ক্লান্ত মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সহায়ক। শিক্ষার্থী বা কর্মজীবীদের জন্য এটি একটি ভালো ন্যাচারাল বুস্টার হতে পারে।

কিছু জরুরি সতর্কতা
খালি পেটে বেশি লিচু খাবেন না, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। খালি পেটে লিচু খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে, যার ফলে জ্বর, দুর্বলতা এমনকি অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। লিচুতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়াই নিরাপদ। রাসায়নিকযুক্ত বা অর্ধপাকা লিচু এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।