সংসারের কাজ নিয়ে দাম্পত্য কলহ এড়াবেন যেভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২২

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে, এমনটিই আছে কথায়। তাই বলে সংসারের সব কাজের ভার নারীর উপর ছেড়ে দেওয়াটাও ঠিক নয়। সংসারের একে অন্যের পাশে থাকে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই দায়িত্ব ও কর্তব্য।

এমন কোনো নিয়ম নেই যে, নারীরাই শুধু ঘরের কাজ সামলাবেন আর পুরুষরা বাইরে। এ ধরনের ধ্যান ধারণা এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন সাংসারিক কাজে নারীর পাশাপাশি পুরুষরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন।

একই ছাদের নিচে থাকতে গেলে দাম্পত্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়েই থাকে। তবে অনেক দম্পতির মধ্যেই সাংসারিক কাজ নিয়ে অশান্তি দেখা দেয়। যা এক সময় গুরুতর সমস্যার দিকে মোড় নেয়। এমন সমস্যা ঠেকাতে কী করণীয় চলুন জেনে নিন-

সব বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন

সংসারের খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলুন। সংসারের কাজ একে অন্যের সুবিধা অনুসারে কীভাবে বণ্টন করবেন তা নিজেরাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। তবে কথা বলার সময় যেন উচ্চস্বরে বাকবিতণ্ডা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অশান্তি এড়িয়ে চলুন

ছোটখাট বিষয় নিয়ে অনেক দম্পতির মধ্যেই অশান্তির সূত্রপাত ঘটে। যা মোটেও কাম্য নয়। এমন ক্ষেত্রে সতর্ক হন। নিজেদের মধ্য সমস্যাগুলো সমাধান করুন বিচক্ষণতার সঙ্গে।

একে অন্যের প্রতি সহমর্মী হন

সংসারে একজন কাজ করবেন আর অন্যজন আরামে সময় কাটাবেন তা তো হয় না। যদি সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকে তাহলে তাকে একা কাজ করতে দেখতে পারবেন না আপনি। সব কাজ সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিন। তাহলে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হবে আবার দুজনের বান্ধনও গাঢ় হবে।

দৈনিন্দিন রুটিন তৈরি করুন

সংসারের কাজের একটি রুটিন বানিয়ে নিন। নির্দিষ্ট সময় ধরে যার যে কাজ সেটি করে ফেললেই সমস্যার হবে সমাধান। তাই অহেতুক ঝমেলা বাড়াবেন না। তাহলে নিজেদের মধ্যে বাড়বে তিক্ততা।

নিজেদের মতো সময় কাটানা

অবসরে যে শুধু ঘরের কাজ করেই সমসয় কাটাবেন তা কিন্তু নয়। যেদিন কাজ করার মুড থাকবে না সঙ্গীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। কোথায় ঘুরতে চলে যান ও বাইরে পেট পুরে খেয়ে নিন।

দম্পতির মধ্যে ভালো বোঝাপোড়া থাকলে সংসার খুব সুখের হয়। সংসারে শুধু নারীর নয় দুজনেরই অবদান রাখা জরুরি। তাহলে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার বন্ধন আরও গাঢ় হয়।

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।