ইন্ডিয়া কতুর উইক ২০২৫

সবাইকে ছাড়িয়ে রাশা ও ইব্রাহিম

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৫
সংগৃহীত ছবি

ফ্যাশন দুনিয়ায় নতুন তারাদের দৃপ্ত পদচারণা আলোকিত হয়েছে এবারের ফ্যাশন উইক। ইন্ডিয়া কতুর উইকের শেষ দিনে শো স্টপার হয়ে বাজিমাত করেছেন রাভিনা ট্যান্ডনের মেয়ে রাশা থাদানি ও সাইফ আলী খানের ছেলে ইব্রাহিম আলী খান। ডেব্যু হওয়া প্রথম র‍্যাম্পেই হাতে হাত রেখে হেঁটে ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। ফ্যাশনপ্রেমী এবং নেটিজেনদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন।

ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার জেজে ভালায়ারের শো স্টপার হয়েছেন তারা। জেজে ভালায়ার ৩৩ বছর ধরে বিলাসবহুল পোশাক ডিজাইন ফ্যাশন জগতের সৃজনশীল মোটিফ, ফ্যাশনের রাজকীয় ঐতিহ্য উদযাপন করার জন্য পরিচিত।

সবাইকে ছাড়িয়ে রাশা ও ইব্রাহিম

এবারের আসরে নজরকাড়া ডিজাইনারদের কালেকশনের মাঝে জেজের কালেকশনটি ৬০ দশকের লুকে সাজিয়েছেন। ‘পূর্ব’ শিরোনামে জেজে ভালায়ার সংগ্রহটি প্রাচ্যের পশ্চিমা কল্পনা দ্বারা অনুপ্রাণিত। পোশাকে সিল্ক, ব্রোকেড, মখমল এবং অর্গানজারসমৃদ্ধ প্যালেটগুলোকে একত্রিত করে আধুনিক ছোঁয়া দিয়েছেন। এছাড়া টেরাকোটা হাতি, মনোমুগ্ধকর আলো, রানওয়ে সবকিছুতে ছিল রাজকীয় স্পর্শ।

রাশার কালো রঙের লেহেঙ্গায় সোনালি এবং বহু রঙের কারুকাজ ছিল। ফুল শোল্ডারের ব্লাউজে তাকে মোহনীয় লেগেছে। অন্যদিকে দোপাট্টাকে কেপ-স্টাইলে ড্রেপ করে পোশাকের কারুকার্যকে আরও উজ্জ্বল করা হয়েছে। লেহেঙ্গার ট্র্যাডিশনাল লুকের সঙ্গে ডিজাইনার অর্চনা আগরওয়ালের গয়নায় রাশা অনবদ্য ছিল। গলা খালি রেখে হাতে আর কানে পরেছেন হীরার হালকা গয়না।

সবাইকে ছাড়িয়ে রাশা ও ইব্রাহিম

মেকওভারও অত্যন্ত মিনিমাল। খোলা চুলে সেমি স্মোকি আই মেকআপ আর ন্যুড ব্রাউন লিপকালার লুকে মুগ্ধ করেছেন। তার সঙ্গী ইব্রাহিম আলী খান মখমলের কালো শেরওয়ানি, পাঠানি স্টাইলের বটম এবং পাতিয়ালা সালোয়ার পরে উপস্থিতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দুজনের পোশাকেই ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় কারুশিল্পের নৈপুণ্যের মিশ্রণ। রাশাও ইব্রাহিমের শো-স্টপার মুহূর্তটি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সঠিক মিশ্রণের মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

এসএকেওয়াই/কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।