উপভোগ করুন একাকীত্ব


প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পর্ক জীবনের বৈচিত্র্যময় আনন্দকে চিনতে সাহায্য করে। প্রিয় কারো সঙ্গে সময় কাটানো নিশ্চয় স্মৃতিকে পরিপূর্ণ করে। কিন্তু তার মানে এই নয়, জীবন সবার একইরকম কাটবে বা সবসময় একইরকম যাবে। কখনো কখনো একাকীত্ব অপরিহার্য হয়ে উঠে। এ একাকীত্ব নিজেকে বোঝাপড়ার জন্য খুবই দরকারী। একাকীত্ব মানুষকে এমন অভিজ্ঞতা দেয়, যা অন্য কোনোভাবে অনুবাধন করা সম্ভব নয়।
এবার জেনে নিন কীভাবে একাকীত্বের সময়গুলো উপভোগ করবেন-

একা একা ছুটি কাটান : নিজেকে আবিষ্কারে ঘুরতে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এটি আপনাকে ‍মুক্তির অনুভূতি দেবে, বাড়াবে আত্মবিশ্বাস। যেনতেন স্থান নয়, নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই স্থান বেছে নিন। যদি সমুদ্র পছন্দ করেন, তবে কক্সবাজার বা কুয়াকাটা বা দেশের বাইরের কোনো সমুদ্র শহরে চলে যান। যদি কেনাকাটা পছন্দ করেন, শপিং মল থেকে ঘুরে আসুন। সবার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন— কোথায় যেতে যান।

ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিন : যদি নিজের কাজকে ভালবাসেন, তবে সে দিকে মনোযোগ দিন। বেশীরভাগ সময় কাজের মধ্যে থাকা শুধু পেশাগত অর্জনকেই বড় করে তোলে না, বরং আপনাকে আনন্দ দেয় ও নিজের ক্ষমতাকে অনুধাবনের সুযোগ দেয়। তার মানে নয়, ওয়ার্কোলিক হয়ে যাবেন। কাজের ক্ষেত্রে নিজের সৃজনশীলতা ও স্বাধীনতা বজায় রেখে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন।

বন্ধুত্ব উপভোগ করুন : যদি বন্ধুদের মিস করেন, তবে তাদের সঙ্গে পার্টিতে যান। বন্ধুত্ব সামাজিকীকরণের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। ছুটির দিনগুলো বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে পারেন। অথবা আপনার কাজের জায়গায় তাদের ডাকতে পারেন। এর কিছুই যদি না হয়, তবে তাদের ফোন করুন। এ ধরনের উদযাপন আপনাকে চাঙ্গা করে তুলবে।

মুভি দেখতে যান : ভেবে দেখুন কতবার আপনার সঙ্গীর অনিচ্ছার কারণে বা বন্ধু না পেয়ে সন্ধ্যার শো মিস করেছেন। একা একা মুভি দেখেন। কমেডি, অ্যাকশন বা রোমান্টিক— যাইহোক উপভোগ করুন।

নিজের জন্য বাঁচুন, নিজেকে নিয়ে নয় : অনেকেই ‘নিজের জন্য বাঁচা’ ও ‘নিজেকে নিয়ে বাঁচা’র মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। একাকীত্বের সময়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। শুধু নিজের জন্য ভাল কিছু খোঁজার মধ্যে নিজেকে সীমিত রাখবেন না, বরং নিজেকে নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। এ সময়ে সামাজিক কাজে সময় দিতে পারেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।