সকালের নাস্তায় জাফরানি রুটি
সকালের নাস্তায় প্রায় প্রতিটি পরিবারে রুটি, সবজি, ডিম ইত্যাদি রাখা হয়। একই রুটি প্রতিনিয়ত খেতে খেতে মুখে অরুচি আসতে পারে। তাই চাই ভিন্ন স্বাদের কিছু। যদি এমন হয় যে উপাদান একই থাকবে, কিন্তু বদলে যাবে স্বাদ। এমনটি সম্ভব যদি বাসায় তৈরি করেন জাফরানি রুটি। আসুন জেনে নেই নিয়ম-কানুন।
উপকরণ
ময়দা- ১ কেজি
তরল দুধ- ৪০০ গ্রাম (খামিরের জন্য)
গুঁড়ো দুধ- ২০০ গ্রাম (রুটিতে ছিটনোর জন্য)
চিনি- ১০০ গ্রাম
লবণ- ১ টেবিল চামচের সামান্য কম
ইস্ট- ১ টেবিল চামচ
জাফরান- ১ চা চামচ
ডিম- ২টি
ঘি- ১২০ গ্রাম (খামিরের জন্য) ও ৫০ গ্রাম (রুটির জন্য)
কিসমিস- পরিমাণমতো
বাদাম বা পেস্তা- পরিমাণমতো
প্রস্তুত প্রণালি
বাটিতে ইস্ট ছিটিয়ে নিয়ে হালকা গরম পানি (২ থেকে ৩ টেবিল চামচের মতো) দিয়ে নাড়ুন। ইস্ট নরম হয়ে মিশে গেলে তরল দুধ, ডিম, ঘি ও চিনি মিশিয়ে ফেটে নিন।
অন্য একটি বাটিতে ময়দা, গুঁড়ো দুধ, লবণ ও জাফরান মিশিয়ে নিন। তার চারপাশে গোল করে সরিয়ে নিয়ে মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় ইস্ট, ফোটানো দুধ, ডিম, ঘি ও চিনির মিশ্রণ ঢেলে ময়দায় ভালো করে ময়ান দিন। খামির মসৃণ হয়ে এলে তার দুই পাশে ঘি মেখে গরম জায়গায় ঢাকনা দিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ঢেকে রাখুন।
তিন ঘণ্টা পর খামির ফুলে উঠলে তা ১০ ভাগ করুন। বেকিং ট্রেতে ঘি মাখিয়ে নিন। রুটি বেলার পিঁড়িতে সামান্য পুরু করে গোল রুটি বেলে বেকিং ট্রেতে চার-পাঁচ সেমি দূরে একেকটি রুটি রাখুন। রুটির ওপরে কিসমিস, বাদাম, পেস্তা ছিটিয়ে দিন।
এখন প্রি-হিটেড ওভেনে ২৫০ ডিগ্রিতে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট বেক করুন। ওভেন থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে রুটির দুই পিঠে তরল দুধ ছিটিয়ে দিন। রুটির তাপ তরল দুধ শুষে নেবে। তারপর রুটির উপরিভাগে ঘি দিয়ে ব্রাশ করে দিন। তাওয়ায় মাঝারি আঁচে এই রুটি সেঁকে নিতে পারেন বেকের পরিবর্তে।
এসইউ/এমএস