আল মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী

পৃথক তিন আয়োজন, রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন না করায় ক্ষোভ

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে পথনির্দেশ করেছে, তিনি কবি আল মাহমুদ। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে পৃথক পৃথক আয়োজন করেছে কবির ভক্ত-অনুরাগীরা।

আল মাহমুদ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিক আবিদ আজম জানিয়েছেন, আল মাহমুদ স্মরণে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ। ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি কবির স্মৃতি বিজড়িত নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও কবিভক্তরা উপস্থিত থাকবেন।

এ ছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় বাংলা একাডেমির মূল মঞ্চে কবির সাহিত্যকর্মের ওপরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কালের কলস আয়োজন করতে যাচ্ছে ‌‌‌‘বিপ্লব বসন্তে আল মাহমুদ’ শীর্ষক স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান।

রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির প্রয়াণ দিবস পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়ে আবিদ আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে স্মরণ করা।’

তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার এ অভিযাত্রায় এখনই সময়, কবির জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হোক। কবির জন্মস্থান ও কবরসহ সব স্মৃতি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হোক এই দাবি করছি।’ একইসঙ্গে এ বছর কবিকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে দায় মোচন করারও আহ্বান জানান তিনি।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।